তাহমিদা হোসেন : এ বছর “আবার আওলাদ মিয়ার ভাতের হোটেল” বের হল। সেটা জেনে অনেকদিন ধরে বাসায় পরে থাকা “আওলাদ মিয়ার ভাতের হোটেল” পড়তে ইচ্ছা করলো।
যখন বইটা বের হয়েছিল তখন স্কুলে পড়তাম আর নতুন লেখকদের প্রতি অনাগ্রহ কাজ করতো (বোকা ছিলাম)। এখন আরাম আর স্বাচ্ছন্দ্যে পড়া যায় এমন বইয়ে মনোযোগী হচ্ছি। “আওলাদ মিয়ার ভাতের হোটেল” একবার বসেই শেষ করার মত বই।
গল্পের শুরুতে বন্ধু সেলিম মারা গেলে অরিন্দম তাকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে উত্তরবঙ্গের পথে রওনা হয়। মাঝ রাতে পলাশবাড়ি পৌছে রাত কাটানোর জায়গা না পেয়ে উদভ্রান্ত অরিন্দমকে ফুল মিয়া নিয়ে আসে আওলাদ মিয়ার ভাতের হোটেলে।
সে রাত ছিল বিশেষ রাত। অরিন্দম সহ আরো পাঁচজন নর-নারীকে আওলাদ মিয়ার আতিথেয়তার মূল্য দিতে হবে প্রত্যেকের জীবনের সবচেয়ে অদ্ভুত আর উদ্ভট অভিজ্ঞতার গল্প বলে। আর সবশেষে আওলাদ মিয়া নিজের গল্প বলবেন।
প্রত্যেকটা গল্পের স্বাদ ভিন্ন। রোমাঞ্চকর,কল্পনার চেয়ে বিরল, রোমহষর্ক,যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যাহীন আর বিচিত্র অভিজ্ঞতার গল্প যেগুলো সাধারণ মানুষের জীবনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
উত্তরবঙ্গের ভাষা সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। “ছামেদুলের গল্প” অধ্যায়টি পড়তে গিয়ে প্রথম দিকে একটু সমস্যা হলেও পরে দ্রুত বুঝতে পেরেছি।
সবশেষে বলতে চাই তৃপ্তিদায়ক বই ছিল। আমার এখন পরবর্তী বইটি পড়তে খুব ইচ্ছে করছে।