29 C
Dhaka
১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
টেকসিঁড়ি

‘সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিকে দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই’

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাবমেরিন ক্যাবল স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য দেশের অত্যন্ত অপরিহার্য টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো। স্মার্ট প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিকে একটি সময়োপযোগী দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যান্ডউইদথ সরবরাহ নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিকে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

পলক শনিবার কুয়াকাটায় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশ ও জনগণের প্রতি সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির দায় রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, জনগণের নিকট সাশ্রয়ী মূল্যে এবং নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহে আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর সুচিন্তিত দিকনির্দেশনায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে যুগান্তকারি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০০৭ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউদথের দাম ছিল ৮৫ হাজার টাকা। আমরা জনগণের নিকট ইন্টারনেটের দাম সাশ্রয়ী করতে তা বর্তমানে মাত্র সর্বনিম্ন ৬০ টাকায় নামিয়ে এনেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিনামাশুলে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তৎকালীন সরকার বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়া থেকে পিছিয়ে রাখে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল এবং পরবর্তীত ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ কেবল সেই পশ্চাদপদতা অতিক্রমই করেনি বরং হাওর, দ্বীপ, চরাঞ্চল ও দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দেশে ২০০৮ সালে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো এবং ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৭ লাখ।

বর্তমানে দেশে ১৩ কোটি ১০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং ৫ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইদথ ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্তি ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশের আরো একটি ঐতিহাসিক অর্জন বলে উল্লেখ করেন ।

তিনি বলেন, মানুষের স্মার্ট জীবনধারা নিশ্চিত করতে প্রতিটি অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাব কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল এবং স্থানীয় কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিমন্ত্রী কুয়াকাটা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন করেন।

তিনি কুয়াকাটা সাবপোস্ট অফিস ভবনের চলমান উন্নয়ন কাজ ঘুরে দেখেন।

Related posts

এআই প্রযুক্তি যেন আমাদের সমাজে প্রযুক্তি বৈষম্য বৃদ্ধি না করে : পলক

Tahmina

জনতা টাওয়ারে এআই হাব করতে চায় কোরিয়া

Tahmina

কাজের চাপে আত্মহত্যা করলো দক্ষিণ কোরিয়ায় রোবট !

Tahmina

Leave a Comment