29 C
Dhaka
১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
টেকসিঁড়ি

বর্তমান প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়তে ছাত্রলীগের প্রতি পলকের আহ্বান

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন আদর্শ অনুসারী হয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটা নেতাকর্মীর নিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে “ইতিহাসের গতিধারায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা” শীর্ষক সংবাদ চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জুন মাস বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ববহ একটি মাস উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, এই মাসেই ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা’ বাঙালির মুক্তির সনদ ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৯ সালের এই জুন মাসেই বাংলার মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

তিনি বলেন, যেই দলের ছায়াতলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা ১৯৫২ সালে অর্জন করেছি মায়ের ভাষা বাংলা, ১৯৭১ সালে পেয়েছি সার্বভৌমত্ব ও মহান স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন ও মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

পলক বলেন, দীর্ঘ ৭৫ বছরের গৌরবময় পথচলার ঐতিহাসিক এই যাত্রায় সকল সংকট ও সংগ্রামে সবসময় বাংলাদেশের মানুষের পাশে ছিলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মায়ের ভাষা ও স্বাধীনতা থেকে শুরু করে আজকের অর্থনৈতিক মুক্তি, বাংলাদেশের যত অর্জন সবকিছুই হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “রাজনৈতিক স্বাধীনতা তখনই সফল হয়, যখন একটি দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করে। রাজনৈতিক মুক্তি ও অর্থনৈতিক মুক্তি তখনই টেকসই হয়, যখন একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব সফল হয়। বাংলার মানুষের সেই রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদেরকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন ও অর্থনৈতিক মুক্তির ভিত্তি রচনা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। আর বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে সফল করার লক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

Related posts

ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কিনে বাইক জিতলেন গাজীপুরের রাসেল

Tahmina

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০৩১ পর্যন্ত কর অব্যাহতির দাবি ৫ সংগঠনের

Tahmina

ভাঙছে গুগল , ভাঙছে মনোপলী বিজনেস ?

Tahmina

Leave a Comment