টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদ অপার সম্ভাবনাময় । এই সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহার করে দেশের অর্থনীতি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাপান-বাংলাদেশ রোবোটিক্স এন্ড এডভান্সড টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার (JBRATRC) একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে যা বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন পেয়েছে।
এই প্রকল্পের প্রধান স্বপ্নদ্রষ্টারা হলেন তিন তরুণ গবেষক: জাপান বাংলাদেশ রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফারহান ফেরদৌস, উপদেষ্টা ও শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদ মাসুদ রানা এবং ইঞ্জিনিয়ার শাকিক মাহমুদ, ডেপুটি টেকনিক্যাল ডিরেক্টর।
মূল প্রকল্পটির নাম ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’, যা বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর অধীনে ‘ডেভেলপমেন্ট অফ আইওটি-বেসড স্মার্ট মেরিকালচার টেকনিক ফর দ্য সাসটেইনেবল ইউটিলাইজেশন অফ ব্লু ইকোনমি’ নামের JBRATRC এর উপ-প্রকল্পটি অর্থায়ন পেয়েছে।
জাপান থেকে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফারহান ফেরদৌস বলেন, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদের উপর গবেষণা ও চাষাবাদের উন্নয়নে অনেক প্রচেষ্টা চললেও তা এখনো পর্যাপ্ত গতি পায়নি। এই উপ-প্রকল্পটি আইওটি, মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উন্নত প্রযুক্তিগুলির সমন্বয়ে মাছ চাষের পদ্ধতি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো এবং পরিবেশগত টেকসইতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে চলছে।”
প্রকল্পটির প্রধান গবেষক (PI) মো: মাসুদ রানা ও প্রকল্পটির অন্যতম গবেষক (Co-PI) ইঞ্জিনিয়ার শাকিক মাহমুদ উল্লেখ করেন যে প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আইওটি-ভিত্তিক একটি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম তৈরি করা, যা মাছের স্বাস্থ্য ও আচরণ মনিটর করার পাশাপাশি মাছের উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারবে।
এই সিস্টেম বাংলাদেশের সমুদ্রজ উৎপাদন বৃদ্ধি, স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জীবনমান উন্নতির মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চল তথা দেশের মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনবে যা আমাদের ব্লু ইকোনোমিকে আরও স্বয়ংসম্পূর্ন করবে। “
এই উদ্যোগের মাধ্যমে উপকূলীয় মৎস্য চাষ ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারে বাংলাদেশ সামুদ্রিক খাদ্য পণ্যের আন্তর্জাতিক মান টেকসই প্রমাণ নিশ্চিত করতে পারবে।