টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : সাইবার নিরাপত্তার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমরা আশঙ্কা করছি, আমাদের ব্যাংকিং, পোশাক, টেলিকম এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত সমূহে সাইবার হামলার ঝুঁকি রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের তালিকাভুক্ত সাইবার হামলার ঝুঁকিতে থাকা ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই নির্দেশনাসমূহ মেনে চলছে না এবং পর্যাপ্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি।
সমসাময়িক পরিস্থিতিতে সাইবার নিরাপত্তায় করণীয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ৩০ জুলাই, মঙ্গলবার এমন তথ্য জানান ডাক , টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি সহ ব্যক্তি পর্যায়েও সাইবার হামলা হতে পারে। তাই আমাদের ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সাইবার নিরাপত্তার প্রোটোকলসমূহ মেনে চলা উচিৎ। সাইবার হামলার ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে ও আমাদের সাইবার প্ল্যাটফর্মকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে আমাদের নেটওয়ার্ক অপারেশন সেন্টার (NOC), সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার (SOC) ও সাইবার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (CIRT) এর নির্দেশনাসমূহ মেনে চলতে হবে।
তিনি ব্যক্তি পর্যায়, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আমাদের রাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে সচেতনতা অবলম্বন করে স্বচেষ্ট ভূমিকার কথা বলেন ।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান বিশ্বে কেউই শতভাগ সাইবার ঝুঁকিমুক্ত নয়। ব্যক্তি বা কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠি ও রাষ্ট্রের প্ররোচনায় অনেক সাইবার হামলা হচ্ছে। আমরাও অনেকবার সাইবার হামলার শিকার হয়েছি। তাই সরকারি সকল প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে সকলকে বলবো নির্দেশনা সমূহ মেনে চলতে এবং অস্বীকৃত ও লাইসেন্স বিহীন অ্যাপ বা পোর্টাল ব্যবহার না করতে।
পলক সাইবার হামলা মোকাবেলার জন্য আমরা তিন ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দেন, – ১. প্রিভেনটিভ মেজার, ২. ইনসিডেন্ট রেসপন্স, ও ৩. পোস্ট ইনসিডেন্ট রেসপন্স। পাশাপাশি সাইবার হামলার ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারি- আক্রান্ত হলে ওয়েবসাইটটাকে অফলাইনে নিয়ে যাওয়া, নিয়মিত পাসওয়ার্ড আপডেট করা, যেকোন পোর্টালে লগইনের ক্ষেত্রে মাল্টি ফেক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করা, সিকিউরিটি অডিট করা।
দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সাইবার নিরাপত্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংক, সিভিল অ্যাভিয়েশন, পুলিশ, ডিজিএফআই ও এনএসআই প্রতিনিধিরা।