টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ‘বাংলার প্রেমে উইকি ২০২৫’ আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন আশরাফ আলী, দ্বিতীয় সঞ্জয় কুমার এবং তৃতীয় হয়েছেন অভিজিৎ দে।
এতে অংশগ্রহণ করেন ১৯১ জন আলোকচিত্রশিল্পী, যারা মোট ১,৮০০টি আলোকচিত্র জমা দেন। প্রতিযোগিতায় আসাম, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৪২১টি পাখির প্রজাতির আলোকচিত্র জমা পড়ে, যা গোটা বাংলা অঞ্চলের পাখির বৈচিত্র্য ডিজিটাল মাধ্যমে নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত।
আলোকচিত্রের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার লক্ষ্যে প্রতিবছর আয়োজিত হয় আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ‘বাংলার প্রেমে উইকি’। ২০২৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতার এবারের বিষয়বস্তু ছিল ‘বাংলার পাখি’।

উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ উইকিমিডিয়া ব্যবহারকারী দলের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ কার্যক্রমের’ অংশ হিসেবে বাংলা উইকিমৈত্রীর আয়োজনে চলতি বছর প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় ১ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত।
জমাকৃত ছবিগুলোর মধ্য থেকে তিন স্তরের পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারকমণ্ডলী সেরা ১০টি আলোকচিত্র নির্বাচন করেন। বিচারকদের মধ্যে ছিলেন আবদুল মোমিন (বাংলাদেশ), ফ্রাঙ্ক শুলেনবার্গ (জার্মানি), টিমোথি এ. গঞ্জালভেস (ভারত), সাইমন পিয়েরে ব্যারেট (ফ্রান্স) এবং সৈয়দ আব্বাছ (বাংলাদেশ)।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন আশরাফ আলী। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সঞ্জয় কুমার এবং তৃতীয় হয়েছেন অভিজিৎ দে। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীদের যথাক্রমে ৫০ হাজার, ২৫ হাজার এবং ১৫ হাজার টাকার পুরস্কার প্রদান করা হবে।
এছাড়াও শীর্ষ ১০ জন বিজয়ীকে ক্রেস্ট এবং স্বীকৃতিপত্র প্রদান করা হবে। বাংলার প্রেমে উইকি হলো বৈশ্বিক “উইকি লাভস” আলোকচিত্র আন্দোলনের অংশ, যার লক্ষ্য নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক বা প্রাকৃতিক থিমে উচ্চমানের, মুক্ত লাইসেন্সপ্রাপ্ত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্সে (commons.wikimedia.org) সমৃদ্ধ করা।
প্রতিযোগিতায় জমা পড়া সব ছবি মুক্ত লাইসেন্সে প্রকাশিত হয়, যা উইকিপিডিয়া ও অন্যান্য মুক্ত প্ল্যাটফর্মে অবাধে ব্যবহারের সুযোগ দেয়।
২০২৫ সালের আসর কেবল বাংলার পাখির প্রজাতির দৃশ্যমান নথিকরণে অবদান রাখেনি, বরং মুক্ত জ্ঞানপ্রবাহ ও জীববৈচিত্র্য সচেতনতাকেও উৎসাহিত করেছে।
আরও পড়ুন