টেকসিঁড়ি রিপোর্টঃ প্রযুক্তি বিশ্বের দুই জায়ান্ট, মেটা প্ল্যাটফর্মস এবং গুগল, ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস ব্যবহারের জন্য একটি বড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় মেটা আগামী ছয় বছরের জন্য গুগলের ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে। চুক্তির আর্থিক মূল্য ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বলে জানা গেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লক্ষ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। এই চুক্তির মাধ্যমে মেটা গুগল ক্লাউডের উন্নত কম্পিউটিং এবং ডেটা অ্যানালিটিক্স সক্ষমতা কাজে লাগাবে বলে জানা গেছে।
এই চুক্তিটি প্রধানত মেটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত কাজের জন্য করা হয়েছে। মেটা তার এআই মডেল, যেমন Llama, এবং অন্যান্য জেনারেটিভ এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে শক্তিশালী করতে গুগলের ডেটা সেন্টার, সার্ভার, স্টোরেজ এবং নেটওয়ার্কিং পরিষেবা ব্যবহার করবে। এই বিশাল বিনিয়োগের মাধ্যমে মেটা তার এআই পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে।
যদিও মেটা এবং গুগল উভয়ই অনলাইন বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী, এই চুক্তি প্রমাণ করে যে AI-এর ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। এটি গুগলের ক্লাউড ইউনিটের জন্য একটি বড় জয়, যা অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস (AWS) এবং মাইক্রোসফ্ট অ্যাজুরের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করছে।
এই চুক্তির খবরটি প্রথম প্রকাশিত হয় প্রযুক্তি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইনফরমেশন’-এ। এর আগে, গুগল ক্লাউডের সঙ্গে একই ধরনের একটি চুক্তি করেছিল OpenAI, যা ChatGPT-এর নির্মাতা। এই ধরনের বড় চুক্তিগুলো ইঙ্গিত দেয় যে AI-এর জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং সংস্থান পেতে বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ক্লাউড পরিষেবা প্রদানকারীদের উপর নির্ভরশীল হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি বলেছেন যে তার কোম্পানি AI ডেটা সেন্টার নির্মাণে শত শত বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। এই বিপুল ব্যয়ের চাপ কমানোর জন্য মেটা বাইরের অংশীদারদের খুঁজছে এবং ২ বিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার সম্পদ বিক্রি করার পরিকল্পনাও করছে।