টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ সিজন ৩ এর নিবন্ধন চলছে । ১৩টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে সারা দেশের প্রথম শ্রেণি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে। প্রতিটি ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হবে ১ জন বিজয়ী এবং ২ জন রানারআপ। নিবন্ধন শেষ হবে ৩১ অক্টোবর , ২০২৫।
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ (ICTOB) জাতীয় পর্যায়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিভিত্তিক প্লাটফর্ম।
প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তাদেরকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বের জন্য প্রস্তুত করা।
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের ফাউন্ডার মোহাম্মদ শাহরিয়ার খানকে টেকসিঁড়ির পক্ষ থেকে গত দুই সিজন আয়োজন করতে গিয়ে তিনি কি কি বেরিয়ার পেয়েছেন এমন প্রশ্ন জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, প্রায় ৬ রকম বেরিয়ার পেয়েছেন তারা। যেমন, প্রচারের সমস্যা , আয়োজনের ঝামেলা , টাকার সমস্যা , প্রযুক্তির সমস্যা , অংশগ্রহণের সমস্যা এবং মান বজায় রাখা ।
তিনি আরও বলেন, দেশের সব জায়গায় খবর পৌঁছানো যায়নি। অনেক স্কুল-কলেজে জানানো হয়নি, তাই অনেকে অংশ নিতে পারেনি। এজন্য পরে শিক্ষক, প্রতিনিধি আর রেজিস্ট্রেশন বুথ দিয়ে প্রচার বাড়াতে হয়েছে। প্রতিযোগিতা কয়েক ধাপে হয়েছে—অনলাইন, জেলা, বিভাগ, সেমি-ফাইনাল আর ফাইনাল। প্রতিটি ধাপে জায়গা ঠিক করা, সময় মিলানো, যাচাই-বাছাই করা কষ্টকর ছিল।
ঢাকায় ফাইনাল আয়োজন করতে গিয়ে ভেন্যু আর যাতায়াত সমস্যা হয়েছিল। বড় আয়োজন করতে অনেক খরচ লেগেছে (প্রচার, পুরস্কার, প্রযুক্তি ইত্যাদি)। সবসময় পর্যাপ্ত স্পনসর পাওয়া যায়নি। কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতেও ঝামেলা হয়েছে। অনলাইনে পরীক্ষার সময় অনেকের ইন্টারনেট ধীর ছিল। সবার কাছে ভালো ডিভাইস ছিল না। সফটওয়্যার বা সিস্টেম ঠিকভাবে না চলায় অনেক অভিযোগ এসেছে।
তিনি জানান, গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি, কারণ ইন্টারনেট বা কম্পিউটার ছিল না। শহর আর গ্রামের শিক্ষার্থীর প্রস্তুতির মধ্যে ফারাক ছিল। কেউ জানলেও দূরের ভেন্যুতে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। প্রশ্ন সবার স্তরের সঙ্গে মেলানো কঠিন ছিল।
আসুন দেখে নিই বিস্তারিত কার্যক্রম ঃ
রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, প্রতিটি অংশগ্রহণকারী পাবে ফ্রি ক্লাসে অংশগ্রহণের সুযোগ, যেখানে শেখানো হবে ICTOB-এর ১৫টি যুগপযোগী আইসিটি সেগমেন্ট। এই ক্লাসগুলো শিক্ষার্থী তার ড্যাশবোর্ড থেকে দেখতে পারবে যা অভিজ্ঞ মেন্টরদের মাধ্যমে পরিচালিত।
এই প্রস্তুতিকে আরও কার্যকর ও সহজ করার জন্য প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর জন্য আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইটে থাকবে একটি আলাদা ড্যাশবোর্ড, যেখানে তারা সহায়ক শিক্ষা উপকরণগুলো একসঙ্গে পাবে। এগুলো হল, বই (PDF ফরম্যাটে), রেকর্ডেড ক্লাস ভিডিও, ব্লগ কনটেন্ট – প্রতিটি সেগমেন্টভিত্তিক লেখা ও বিশ্লেষণ, প্র্যাকটিস মক টেস্ট – নিজেকে যাচাই করার জন্য অনুশীলনী পরীক্ষা।
ভিডিও কনটেন্ট – ভিজ্যুয়াল লার্নিং সহজ করতে সহায়ক সংক্ষিপ্ত ভিডিও। পরীক্ষা পদ্ধতি কিভাবে হবে। মোট ৫ টি রাউন্ড।
সিলেকশন রাউন্ড:
এটি অনলাইনে শিক্ষার্থীর ড্যাশবোর্ড থেকে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ড: সিলেকশন রাউন্ডে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ডে, যা অনলাইনে শিক্ষার্থীর ড্যাশবোর্ড থেকে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
সেমি ফাইনাল রাউন্ড:
সফলভাবে কোয়ার্টার ফাইনাল উত্তীর্ণ মেধাবীরা অংশ নেবে সেমি ফাইনাল রাউন্ডে। যা অনলাইনে শিক্ষার্থীর ড্যাশবোর্ড থেকে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। সেমি ফাইনাল রাউন্ড শেষে যেসব শিক্ষার্থী শীর্ষ পর্যায়ে থাকবে, শুধুমাত্র তাদেরকে চূড়ান্ত পর্ব (ফাইনাল বা গালা রাউন্ড)-এ অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে।
গালা রাউন্ড
অফলাইনে এই রাউন্ড ঢাকায় নির্ধারিত কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে অংশগ্রহণকারীদের মূল্যায়ন করা হবে তিনটি ধাপে , রিটেন , এমসিকিউ এবং ভাইভা (সরাসরি প্রশ্নোত্তর)। চূড়ান্তভাবে, প্রতিটি ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হবে ১ জন বিজয়ী এবং ২ জন রানারআপ। প্রতিযোগিদের সম্মাননা, সনদ ও পুরস্কৃত করা হবে। এরা হবে সিজন থ্রি এর আইসিটি স্টার।
রেজিস্ট্রেশন করতে লিংকে ক্লিক করুন : https://share.google/J60CsrjHn5p6FXTbA