টেকসিঁড়ি ফিচারঃ বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই Internet of Things (IoT) নিয়ে এক নতুন প্রযুক্তিগত বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে। আজকের দিনে যে কোনো সচেতন শিল্পমালিক বুঝে গেছেন—শুধু সফটওয়্যার নয়, বরং IoT ইন্টিগ্রেশনই ভবিষ্যতের প্রোডাকশন মডেল। তাই তারা ধীরে ধীরে নিজেদের ফ্যাক্টরি ও উৎপাদন ব্যবস্থায় IoT-সক্ষম ডিভাইস সংযুক্ত করছেন।
এর ফলে,
✅ খরচ অনেক কমে যাচ্ছে,
✅ সময় বাঁচছে,
✅ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—কাজের দক্ষতা (Efficiency) বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে বিদেশি বায়াররাও (Buyers) IoT-ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, কারণ তারা চান একদম নিখুঁত ও ধারাবাহিক মানসম্পন্ন পণ্য। ফলে যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাকশন প্রক্রিয়ায় IoT, AI এবং Automation Technology ব্যবহার করছে, তারা বাজারে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে এবং বিদেশি অর্ডারও বেশি পাচ্ছে।
আমি সম্প্রতি কিছু IoT-ভিত্তিক কোম্পানি ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের প্রায় সব রেডিমেড গার্মেন্টস (RMG) ও ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি IoT-নির্ভর সিস্টেমে রূপান্তরিত হবে।
এর অন্যতম কারণ,
এখন দেশের অনেক কোম্পানি দ্বিতীয় প্রজন্মের উদ্যোক্তারা (Second Generation Entrepreneurs) পরিচালনা করছেন। তাদের বড় একটি অংশ বিদেশে AI, IoT, Big Data ও Machine Learning বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে এসে পারিবারিক ব্যবসার দায়িত্ব নিয়েছেন। ফলে তারা নতুন চিন্তাধারার মাধ্যমে কোম্পানিগুলোকে আধুনিক অটোমেশন ও স্মার্ট টেকনোলজির পথে নিয়ে যাচ্ছেন।
এর ইতিবাচক প্রভাব দুই দিকেই,
একদিকে বাংলাদেশের শিল্পখাত আরও স্মার্ট, কার্যকর ও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠছে। অন্যদিকে দেশের আইটি খাতও দ্রুত ডিজিটালাইজড হচ্ছে।
সবশেষ
সবশেষে বলা যায়—এই দ্বিতীয় প্রজন্মের তরুণ উদ্যোক্তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে “Smart Bangladesh” গঠনের পথে IoT, AI, Big Data এবং Automation—এই চারটি প্রযুক্তিই আগামী দিনের বাংলাদেশের শিল্প, অর্থনীতি ও উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হতে যাচ্ছে।
লেখকঃ সালেহ মবিন, জিএম, এক্সাক্ট আইডিয়া লিমিটেড

