25 C
Dhaka
২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
টেকসিঁড়ি

প্রথম উড়ন্ত ট্যাক্সি “ই২০০” পেতে যাচ্ছে ভারত, দেখা যাবে খুব শীঘ্রই

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : খুব শীঘ্রই দেখা যাবে উড়ন্ত ট্যাক্সি। আর এই উড়ন্ত ট্যাক্সির দেখা মিলবে কিন্তু ভারতেই, আমেরিকা বা অন্য কোনও উন্নত দেশে নয়। এই অভাবনীয় সাফল্যের পিছনে রয়েছে আইআইটি মাদ্রাজের এক অধ্যাপকের মস্তিষ্ক।

সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ১৮’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের প্রথম উড়ন্ত ট্যাক্সিটির নাম, ই২০০(e200)। ট্যাক্সিটি তৈরি করেছে ‘ইপ্লেন’ সংস্থা। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা, আইআইটি মাদ্রাজের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিশিষ্ট প্রফেসর সত্য চক্রবর্তী। ‘নিউজ১৮’-কে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে, অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী এই উড়ন্ত ট্যাক্সির নকশা, নিরাপত্তা, শহরাঞ্চলে পরিবহনের ক্ষেত্রে এর সম্ভাবনার মতো বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন।

তাঁর মতে, ভারতের ব্যস্ত শহরগুলিতে যানজটের সমস্যা দূর করতে পারবে এই বিশেষ ট্যাক্সি। ই২০০ ট্যাক্সির একটি ছোট প্রতিরূপ, ই৫০-র ওড়ার পরীক্ষা ইতিমধ্যেই সফল হয়েছে। প্রফেসর সত্য চক্রবর্তীর মতে, পূর্ণাবয়ব ট্যাক্সিটির প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ান হতে পারে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে।

অধ্যাপক আরও জানিয়েছেন, ভারতের স্থান সঙ্কুলানের জন্য উড়ন্ত ট্যাক্সিকে খুব আঁটসাঁট জায়গায় অবতরণ করতে হবে। সেভাবেই এই ট্যাক্সিকে নকশা করা হয়েছে। একই সঙ্গে একেকবার ব্যাটারি চার্জ করলে যাতে, এই উড়ন্ত ট্যাক্সি একাধিকবার স্বল্প দূরত্বের যাত্রা করতে পারে, সেই দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।

তবে, সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে যাত্রী-নিরাপত্তায়। সম্ভাব্য ঝুঁকি কমানোর জন্য এই উড়ন্ত ট্যাক্সিতে একটি বহুমুখী নিরাপত্তা কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। যা, কঠোর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে করা হয়েছে। ট্যাক্সিটির বিভিন্ন উপাদান এবং সাবসিস্টেমের পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১০০ কোটি বারের মধ্যে মাত্র ১ বার ব্যর্থ হতে পারে সেগুলি। চরম পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য ব্যর্থতা সহ্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে এই ট্যাক্সিকে।

অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, জরুরি পরিস্থিতিতে সফট ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্যারাসুট এবং ইনফ্ল্যাটেবলের মতো জরুরি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উড়ানের সময় স্থিতিশীলতা এবং নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে জন্য উল্লম্ব রোটর এবং এরোডাইনামিক ডিজাইন নীতির মতো উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও উড়ান এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারবে ট্যাক্সিটি। দুটি ডানা এবং উল্লম্ব রোটর ট্যাক্সিটির ওজন বহন করতে পারে। এই দুই ব্যবস্থা জরুরী পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেয়। তবে, চালু হলে এই ট্যাক্সির খরচ বেশ ভালই পড়বে। অধ্যাপকের মতে, উবারে যে ভাড়া লাগে, তার দ্বিগুণ দিতে হতে পারে উড়ন্ত ট্যাক্সি চড়তে হলে।

আর হ্যা,এই প্রজেক্টের মূল ব্যাক্তি অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তীকে বলা হয় ভারতের ইলন মাস্ক।

Source: Altimate Be 5.0

Related posts

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ দাবায় টাইটেল স্পন্সর গুগল

TechShiri Admin

এআই ডেটা সেন্টার নির্মানে ১০ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ নিশ্চিত

Tahmina

সিইএসে নতুন চমক

Tahmina

Leave a Comment