টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : এই প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীদের হাতে হার্ডকপি পৌঁছানোর আগেই ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের সকল পাঠ্যপুস্তক অনলাইনে উন্মুক্ত করেছে বোর্ড।
‘নিম্নমানের কারণে ছাপানোর পর এ বছর ৩.৭ লাখ ফর্মা, ১২ হাজার কভার এবং ১.১৬ লাখ বই বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা রবিবার থেকেই অনলাইনে বইগুলো পড়তে পারবে। এনসিটিবি চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুল হক পাটোয়ারী এই সব কথা জানান।
রবিবার , ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর এনসিটিবি ভবনে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের উপস্থিতিতে ‘২০২৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের অনলাইন সংস্করণ ওয়েবসাইটে আপলোড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার থেকেই এনসিটিবির ওয়েবসাইটে (www.nctb.gov.bd) বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের মোট ৬৪৭টি পাঠ্যপুস্তকের অনলাইন সংস্করণ পাওয়া যাচ্ছে।
বোর্ড এ বছর দ্রুত ২০২৬ সালের বই ছাপানোর কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রায় ৩০.০২ কোটি বই ছাপানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।
বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের ৭৮.৭২ শতাংশ বই ছাপা হয়েছে এবং ৫৮.৬৮ শতাংশ বই বিতরণ করা হয়েছে। বোর্ড এ বছর প্রাক-প্রাথমিকের জন্য ৬০.৬৭ লাখ, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য ৭.৯০ কোটি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ১.৮৫ লাখ, অতিরিক্ত প্রাক-প্রাথমিক (৪+) এর জন্য ৬.৪৩ লাখ, ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য ৪.৪৩ কোটি, সপ্তম শ্রেণির জন্য ৪.১৫ কোটি, অষ্টম শ্রেণির জন্য ৪.০২ কোটি, নবম-দশম শ্রেণির জন্য ৫.৭ কোটি, ইবতেদায়ির জন্য ৩.১১ কোটি এবং ৬০২৬টি ব্রেইল পদ্ধতির পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর পরিকল্পনা করেছে।
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারিতে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৭০ শতাংশ এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৬০ শতাংশ বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক পাবে। ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘প্রায়’ ১০০ শতাংশ বই পাবে এবং প্রাথমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীদের কাছে সব পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়া হবে।


