28 C
Dhaka
১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
টেকসিঁড়ি

ন্যানো টেকনোলজি মানবকল্যাণে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগানো যায় : চুয়েট ভিসি

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, “ন্যানো টেকনোলজি দ্রুত বর্ধনশীল এবং উদ্ভাবনী ক্ষেত্র যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে। ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে নতুন ওষুধ, থেরাপি এবং সার্জারির পদ্ধতি তৈরি করা সম্ভব হবে। আরও দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে রোগ নির্ণয় করা যাবে ন্যানো-ডায়াগনস্টিকস ব্যবহার করে। এই প্রযুক্তি মানবকল্যাণে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগানো যায়।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর রসায়ন বিভাগের উদ্যোগে ৬ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার সকাল ১০ টায় চুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত “ন্যানোটেকনোলজিঃ দ্যা টাইনি রিভল্যুশন শেপিং দ্যা ফিউচার অব এনার্জি, হেলথ এন্ড দ্যা এনভায়রনমেন্ট” শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন। সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন আমেরিকার মেরিল্যান্ড বাল্টিমোর এর কোপিন স্টেট ইউনিভার্সিটির ন্যানোটেকনোলজি সেন্টারের ফাউন্ডিং ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন।

উপাচার্য বলেন, বিজ্ঞানীরা ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে এমন নতুন উপকরণ এবং ডিভাইস তৈরির চেষ্টা করছেন। যা আরও শক্তিশালী, টেকসই, কার্যকর ও সুরক্ষিত হবে। ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে দূষণ কমানো এবং পরিবেশ রক্ষায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। ন্যানো-ফুয়েল সেল ব্যবহার করে পরিবহন থেকে নির্গত দূষণ কমানো যাবে। ন্যানো-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে ভবনগুলোকে শক্তিশালী এবং টেকসই ভাবে নির্মান করা সম্ভব হবে। ন্যানো টেকনোলজি উৎপাদন প্রক্রিয়াগুলোকে আরও দক্ষ এবং টেকসই করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ন্যানো-প্রক্রিয়াকরণ ব্যবহার করে পণ্যগুলোকে দ্রুত ও সস্তায় তৈরি করা সম্ভব। শক্তপোক্ত ও টেকসই মানের পণ্য উৎপাদনে ন্যানো-সামগ্রীর ব্যবহার বিপ্লব ঘটাতে পারে। এনার্জির ক্ষেত্রে, ন্যানো ম্যাটারিয়ালগুলো সোলার সেল এর দক্ষতা বাড়িয়ে তুলছে, যা রিনিউবেল এনার্জির ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ন্যানো স্ট্রাকচার্ড ব্যাটারি ও সুপার ক্যাপাসিটর শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে সাহায্য করছে, যা জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আমরা ধরে নিতে পারি, ন্যানো টেকনোলজি ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। এর মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা, শক্তিশালী ইলেকট্রনিক্স, এবং টেকসই পরিবেশ তৈরি সম্ভব হবে। তবে, এর সাথে থাকা নৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করাও গুরুত্বপূর্ণ।

আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাশ্বত রবি। চুয়েটের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোছাঃ রোকসানা খাতুন এর সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালনা করেন রসায়ন বিভাগের প্রভাষক সানজিদা মুকুট।

Related posts

এয়ারক্রাফট ডিজাইন প্রতিযোগিতায় দক্ষিন এশিয়ায় দ্বিতীয় MIST

Samiul Suman

নোবিপ্রবির উদ্ভাবিত সফটওয়্যার দিয়েই চলছে রেজাল্ট প্রক্রিয়ার সকল কাজ

Tahmina

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে পদযাত্রা কর্মসূচি হলো নোবিপ্রবিতে

Tahmina

Leave a Comment