21 C
Dhaka
৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ১লা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
টেকসিঁড়ি

‘দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নিউক্লিয়ার শক্তি বিশেষ সহায়ক হতে পারে’

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নিউক্লিয়ার শক্তি বিশেষ সহায়ক হতে পারে। আমাদের দেশে এখন সবচেয়ে বেশি প্রযোজন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। বর্তমানে আমাদের দেশে বিদ্যুৎ এর চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট, ধারণা করা হচ্ছে ২০৪০ সালের মধ্যে এই চাহিদা প্রায় ৭৫ হাজার মেগাওয়াটে পৌছাবে।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে “এডভান্সিং নিউক্লিয়ার সেইফটি এন্ড এক্সপান্ডিং স্কোপ অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এপ্লিকেশন” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

১৭ই ডিসেম্বর ,মঙ্গলবার ২০২৪, চুয়েটে একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া এন্ড এমআইইউ এর অধ্যাপক ড. রমিত আজাদ, মালয়েশিয়ার সানওয়ে ইউনিভার্সিটি, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি এর এপ্লাইড ফিজিক্স এন্ড রেডিয়েশন টেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক ড. মইন উদ্দিন খন্দকার।

উপাচার্য বলেন, বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা যেতে পারে। পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরগুলো এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন মনুষ্য-সৃষ্ট কোন দুর্ঘটনা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেমন- শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, ভুমিকম্প, বন্যা ইত্যাদি মোকাবেলায় সক্ষম থাকে।

তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে নিউক্লিয়ার মেডিসিন হচ্ছে একটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি দিয়ে কেবল চিকিৎসা করা হয় না বরং রোগ নির্ণয়েও এটি সহযোগিতা করে। নিউক্লিয়ার মেডিসিন হচ্ছে মেডিসিনের এমন একটি বিষয় যেখানে স্বল্প মাত্রায় তেজষ্ক্রিয়তা ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় এবং রোগের চিকিৎসা করা যায়। তেজষ্ক্রিয়তা অবশ্যই ক্ষতিকর তবে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে স্বল্প মাত্রায় ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া পরমাণু শক্তি কৃষি উন্নয়নেও ব্যবহার হতে পারে। এজন্য পরমাণু শক্তির বিকাশে বর্তমানের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।” 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ. এইচ. রাশেদুল হোসেন এর সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনার সঞ্চালনা করেন নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক জনাব কাজী কামরুন্নাহার অনন্যা।

Related posts

৩ টি সংস্থার সাথে সমঝোতা করলো চুয়েট

Tahmina

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মেধাবী শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে নোবিপ্রবি

Tahmina

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার হলো নোবিপ্রবিতে

Tahmina

Leave a Comment