31 C
Dhaka
৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি
টেকসিঁড়ি

ভেঞ্চারসুক-এর নেতৃত্বে ১২ মিলিয়ন ডলার ফান্ড রেইজ করলো পাঠাও

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : কনজিউমার টেকনোলজি কোম্পানি পাঠাও ফিনটেকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১২ মিলিয়ন ডলারের প্রি-সিরিজ বি রাউন্ড রেইজ করেছে।

এই বিনিয়োগের ফলে পাঠাও-এর মোট ফান্ড রেইজ ৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি, যা বাংলাদেশের প্রি-সিরিজ বি স্টার্টআপগুলোর মধ্যে সর্বাধিক।

এই রাউন্ডের নেতৃত্ব দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক ভেঞ্চারসুক, যারা মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় “প্লাটফর্ম বিনিয়োগ” করে এসেছে। এছাড়া অ্যাঙ্কারলেস বাংলাদেশ, ওসাইরিস গ্রুপ, সাউথ এশিয়া টেক, ওপেনস্পেস ভেঞ্চারসসহ আরও বিনিয়োগকারীরা এই রাউন্ডে যোগ হয়েছে।

পাঠাও-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, “পাঠাও শুধু একটি ব্র্যান্ড নয়, এটি একটি লাইফস্টাইল। এটি যেমন শহরের পরিবহন, লজিস্টিকস এবং গিগ ইকোনোমি পুরোপুরি বদলে দিয়েছে, সেভাবেই আমাদের ফিনটেক উদ্যোগ বাংলাদেশের আর্থিক দৃশ্যপটকেও নতুন করে গড়ে তুলবে।”

বাংলাদেশের লজিস্টিকস, রাইড-শেয়ারিং এবং ফুড ডেলিভারিতে সেরা পাঠাও, ফিনটেকেও অগ্রগতি করেছে, নিয়ে এসেছে ডিজিটাল ওয়ালেট পাঠাও পে এবং দেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় “বাই নাও পে লেটার” সেবা পাঠাও পে লেটার। পাঠাও-এর মেশিন লার্নিং পদ্ধতির কারণে ‘পে লেটার’ ইতোমধ্যেই লাভজনক হয়ে উঠেছে। নতুন তহবিল এই ফিনটেক সেবাগুলোকে আরো বড় করতে, প্রযুক্তি উন্নত করতে এবং বাজারে আরও বিস্তৃত হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ফাহিম আহমেদ আরো বলেন, “আমাদের প্রধান গ্রাহক হলো বাংলাদেশের ডিজিটাল যুগের তরুণরা। প্রচলিত ব্যাংকগুলো তাদের জন্য যথেষ্ট নয়, আর অন্যান্য ডিজিটাল ওয়ালেটগুলো মূলত আনব্যানকড গ্রাহকদের দিকে লক্ষ্য রাখছে। আমরা তরুণ পেশাজীবী এবং প্রযুক্তি-ভিত্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশেষ আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই।”

“পাঠাও-এর বর্তমান পরিসর এবং বাজারে বিশ্বাস, এবং তার দলের দক্ষতা ও সততা দেখে, আমরা বিশ্বাস করি পাঠাও অনেক বছর ধরে একাধিক সেবার ক্ষেত্রে একটি বড় ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। পাঠাও-কে আমরা বাংলাদেশের ফিনটেক সেবার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখি,” বলেছেন তামের কাদুমি, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও জেনারেল পার্টনার, ভেঞ্চারসুক।

“পাঠাও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দ্রুত বিকাশমান ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের এক অতুলনীয় অংশীদার। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস পাঠাও বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির অগ্রযাত্রার পথে শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ” বলেছেন রাহাত আহমেদ, প্রতিষ্ঠাতা পার্টনার ও সিইও, অ্যাঙ্কারলেস বাংলাদেশ।

২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাও, ১ কোটিরও বেশি গ্রাহককে সেবা দিয়েছে এবং বাংলাদেশের গিগ অর্থনীতি ও ছোট ব্যবসায়ে ৫ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।

Related posts

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পাচ্ছে দেশের সাড়ে ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়

TechShiri Admin

চীনের এআই সহযোগিতা নিচ্ছে রাশিয়া

Tahmina

‘এআই’ র সুবিধাগুলি ব্যাপকভাবে বিতরণ করা যাবে না’

Tahmina

Leave a Comment