22 C
Dhaka
৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ১লা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
টেকসিঁড়ি

কলড্রপে টেলিকম অপারেটরদের উপর দায় চাপিয়ে দায় এড়াচ্ছে বিটিআরসি?

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : টেলিযোগাযোগ সেবার বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান না করেই কলড্রপের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি টেলিকম অপারেটরদের উপর দায় চাপিয়ে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে।

বিটিআরসির নিজস্ব প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা যায় যে বছরে কলড্রপের কারণে গ্রাহকের ১৮.৫০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে । বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এ ব্যাপারে বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। দুদিন পর বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে একটি শোকজ লেটার প্রদান করেন। গ্রামীণফোন লিমিটেড এর জবাব দেবার আগেই রবি ও বাংলালিংকে শোকজ লেটার প্রদান করা হয়।

গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন টা জানিয়েছে।

তারা জানায়, কথা বলার ক্ষেত্রে কলড্রপ শুধু আর্থিক ক্ষতিই করে না ,এই সমস্যা দুই প্রান্তে থাকা দুই ব্যক্তির মাঝে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে। গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার ক্ষেত্রে কলড্রপ অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক।

আইটিইউ কিংবা বিটিআরসির গাইডলাইনে যাই থাকুক না কেন ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর একটি রিটের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট সকল ধরনের কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন, সেবা দানের সাথে যুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশনাও প্রদান করেন।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কলড্রপ ইস্যুতে ইতিমধ্যে গ্রামীণফোন, রবি এবং বাংলালিংকে শোকজ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কলড্রপের জন্য সমস্যাগুলোর সামাধান না করে তারা শোকজ করে দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন।

বিটিআরসি টেলিকম অপারেটর এর কাঁধে বন্দুক রেখে সমস্যা সমাধানের দিকে যেভাবে গুলি ছুড়ছে তাতে গুলি যে লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে এতে কোন সন্দেহ নেই কারণ টেলিকম খাতের সার্বিক সমন্বয় না করে এ সমস্যা কখনো সমাধান হবে না।

এর ব্যাখ্যায় মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শুধুমাত্র স্পেকট্রাম দিয়েই কেবল টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়া হয় না। মেবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ছাড়াও কল ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য আইজিডব্লিউ ও আইসিএক্স, ফাইবার ট্রান্সমিশন বা এনটিটিএন এবং টাওয়ার কোম্পানিগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে টাওয়ার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা না পাওয়া বা নতুন সাইটের অনুমোদন না পাওয়া সমস্যা রয়েছে। স্থানীয় না আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানে আইজিডব্লিউ এবং আইসিএক্সের মান যাচাই করা হয় না তারা সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।

দেশে ৬৫ শতাংশ ফাইবার ওভারহেড রয়েছে বলে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন। লাস্ট মাইল পর্যন্ত ফাইবার না থাকা এবং দামের অসঙ্গতি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। ওভারহেড ফাইবার সামান্য কারনেই কাটা যাচ্ছে, ব্যান্ডউইথ স্লো দেওয়া হচ্ছে যার মান যাচাইয়ের জন্য পরিমাপক যন্ত্র খোদ বিটিআরসির কাছেই নেই। নিরবিচ্ছিন্ন ট্রান্সমিশন মোবাইল অপারেটরেদর সেবার অন্যত্তম শর্ত।

বিটিআরসি অপারেটরদের স্পেকট্রাম নেয়ার কথা বলেছে কিন্তু যে উচ্চমূল্যে স্পেকট্রাম দেওয়া হয় তার ব্যয়ভার গ্রাহকের উপরেই পড়ে। আমাদের জানা মতে, অপারেটররা কলড্রপ সমস্যা সামাধানে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে বিটিআরসিকে তা সমাধানের আবেদন করে আসছেন। কিন্তু এ সমস্যাগুলো সমাধান না করে বিটিআরসি শুধুমাত্র শোকজ দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।

টেলিযোগাযোগ অপারেটরদের মান উন্নয়নের সাথে সাথে এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমগুলির মান উন্নয়ন এবং জবাবদিহিতার নিশ্চিত করা না গেলে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয় বলে তারা মনে করেন।

Related posts

অপরাধ দমনে সহায়তা করবে প্রতিরোধ ডট নেট

Tahmina

শুরু হল হুয়াওয়ের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’-এর নিবন্ধন, শেষ ২০ মার্চ

Tahmina

চীন সফরে গেছেন ‘উইমেন ইন টেক’-এর ৩ বিজয়ী

Tahmina

Leave a Comment