28 C
Dhaka
১লা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ৫ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
টেকসিঁড়ি

খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ও সাইবার সিকিউরিটি বিষয় চালুর ঘোষণা পলকের

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ও সাইবার সিকিউরিটি বিষয় চালুর জন্য ৫ কোটি বা ১০ কোটি অথবা ১৫ কোটি যতই খরচ হবে এবং যত প্রযুক্তি প্রয়োজন হবে, সার্বিক বিষয় ব্যবস্থাপনার ঘোষণা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

পাশাপাশি অল্প শব্দের ড্রোন তৈরির জন্য আরও ১০ লক্ষ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন তিনি।

রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিমন্ত্রী শনিবার সিরাজগঞ্জ জেলার খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের স্বাক্ষর ‘মার্চ’ মাস; এই মার্চ মাসেই জন্মগ্রহণ করেছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং এই মার্চ মাসেই জন্ম হয় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের। ঐতিহাসিক এই মার্চ মাসে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কর্ণধার ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কারিগর, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের সমাবর্তনে আসা এবং তাদের জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করা অত্যন্ত গর্বের।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই আমাদের ৪টি বিশেষ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য গুরুত্বারোপ করেছেন; সেগুলো হলো- প্রথমত, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, যা ক্রমশই একটা ফাউন্ডেশনাল প্রযুক্তিতে পরিণত হচ্ছে; দ্বিতীয়ত, রোবটিক্স, রোবটিক্স এর মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এখন আর কোন বিলাসী পণ্য নয়, আমাদের কৃষি থেকে শুরু করে সর্বত্রই রোবটিক্সের প্রয়োজনীয়তা আছে; তৃতীয়ত, মাইক্রোচিপ, সকল ডিজিটাল প্রযুক্তিতেই মাইক্রো ও ন্যানোচিপ ব্যবহৃত হয়; চতুর্থত, সাইবার সিকিউরিটি, প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আমাদের ডিজিটাল জীবনকে নিরাপদ রাখতে অত্যাবশ্যক।

আজকে যারা গ্র্যাজুয়েট হওয়ার স্বীকৃতি পেলেন আপনারা নিজেদেরকে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, সমস্যা সমাধানকারী দেশপ্রেমিক স্মার্ট নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যে সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠেছে, আমি বিশ্বাস করি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থী স্মার্ট নাগরিক হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নেতৃত্ব দিবে। এমনটা বলছিলেন পলক।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একটা ফিলোসফি আমি সবসময় অনুসরণ করি, ‘সিম্পল লিভিং, হাই থিংকিং’। আপনি কি পড়েছেন, কি খেয়েছেন, কোন গাড়িতে চড়ছেন তার থেকে বড় বিষয় হলো আপনি দেশ ও মানুষের জন্য কি এবং কতটা করতে পারছেন। সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।

অন্যান্যদের মধ্যে আরোও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হোসেন রেজাসহ আরও অনেকে।

Related posts

‘বেসিস জাপান ডে উদযাপিত , ২টি সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন

Tahmina

বন্ধের পর আবার চালু হলো টিকটক

Tahmina

বন্ধুদের সাথে খেলার জন্য সেরা মাল্টিপ্লেয়ার স্যুইচ গেম

Tahmina

Leave a Comment