টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ফেইসবুক গ্রুপ উইমেন এন্ড ই কমার্স ট্রাস্টের উদ্যোগে ২০ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে উই হাটবাজার। ঈদ-উল-ফিতর কে উদ্দ্যেশ্য করে ঢাকা বিভাগের ৪ টা এরিয়াতে উই হাটবাজার আয়োজন করা হচ্ছে। ৬৪ জেলায় ই হবে এই হাটবাজার। একই তারিখে না তবে কাছাকাছি তারিখে হবে।
২০ এবং ২১ মার্চ রামপুরা – বনশ্রী, বাড্ডা, মগবাজার, জুরাইন এবং পুরান ঢাকা সহ খিলগাও বাসাবো নারী উদ্যোক্তাদের আয়োজনে খিলগাঁও এর রদেভ্যু পার্টি সেন্টারে হয়েছে উইয়ের একটি হাটবাজার।
আগামী ২২ এবং ২৩ মার্চ মহাম্মাদপুর, ধানমন্ডি, পান্থপথ, আযিমপুর, পুরান ঢাকা, মিরপুর সহ মোহাম্মদপুরের আয়োজনে মোহাম্মাদপুরের হোয়াইট প্যালেস কনভেনশন শ্যামলী কনভেনশনে হচ্ছে উইয়ের আরেকটি হাটবাজার।
২২ এবং ২৩ মার্চ উত্তরা, ক্যান্টন্মেন্ট, খিলখেত, আশকোনা, নিকুঞ্জ, বসুন্ধরা, গুলশান সহ উত্তরার আয়োজনে বাংলাদেশ হল, সেক্টর ৪ উত্তরাতে হচ্ছে উইয়ের আরেকটি হাটবাজার। ২২ এবং ২৩ মার্চ টংগী সরকারি কলেজে হবে উইয়ের আরেকটি হাটবাজার। ২২, ২৩, ২৪ মার্চ হচ্ছে সাভারে উই হাট বাজার।
এ প্রসংগে উই প্রেসিডেন্ট এবং ই ক্যাবের সাধারন সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা টেকসিঁড়িকে বলেন, উই হাট বাজার আমরা প্রতি রোজায় করি এর বড় কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে এখনো রোজার সময় , ঈদের আগে অনলাইনের চেয়ে অফলাইনে কেনাকাটাটা বেশি প্রেফার করে। আমাদের উদ্যোক্তাদের যেহেতু অফলাইনে দোকান নেই তাই আমরা ঈদের সময় এবং পহেলা বৈশাখকে টার্গেট করে অফলাইনে কিছু এরেঞ্জমেন্ট করি যাতে উদ্যোক্তারা সেল করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য সময় সামিটে , কালার ফুল ফেস্টে পণ্য প্রদর্শনী ও ব্র্যান্ডিং এর বিষয় থাকে। হাটবাজার একটা পপুলার টার্ম, এটা মুলত সেল করার জন্য। বিগত ৩ বছর ধরে চলচছে। এতে করে আমাদের উদ্যোক্তাদের বেশ ভাল বেচাকেনা হয়। উইতে অনলাইনে ভাল সেলের রেকর্ড আছে সেই জন্য আমরা অফলাইনেও ব্যবস্থা করি।
অনলাইন প্রতিষ্ঠান হয়ে কেন করেন অফলাইন আয়োজন ? এমন প্রশ্নে মডারেটর ড. সালমা পারভীন বলেন, উদ্যোক্তাদের পণ্যগুলো সরাসরি দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ই এমন আয়োজন করা হয়।
এছাড়া ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলায় জেলায় হবে এই হাট বাজার। প্রতিবছর উই হাট বাজার হয়ে থাকে সেই ধারাবাহিকতায় এই বছরও শুরু হয়েছে।