টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : বাংলাদেশ-বৃটেন একসাথে আইটি সেক্টরে বিজনেস বাড়ানো, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত এবং দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করবে ।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক এর মধ্যে রবিবার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিজনেস, কমার্স কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া ইনোভেশন ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়েও কথা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার সময় লন্ডনে অবস্থান করেন। ওই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার অ্যাডওয়ার্ড হিথের সঙ্গে বৈঠক করেন বঙ্গবন্ধু। সেই বৈঠক থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের শুভ সূচনা হয়। এটাকে আমরা চলমান রাখতে চাই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ভিশন-২০৪১ ঘোষণা করেছেন এবং বৃটিশ সরকারও তাদের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার; স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সিটিজেন, এবং স্মার্ট সোসাইটির সাথে বৃটেনের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজির সাথে অনেকটাই মিল রয়েছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ-ব্রিটেন একসাথে আইটি সেক্টরে বিজনেস বাড়ানো, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত এবং দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করবে বলেও আলোচনা হয়েছে।
একইসাথে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাথে দেশের তরুণ প্রজন্মের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কমিউনিকেটিং স্কিল বাড়ানোর জন্য আলোচনা হয়েছে। যাতে করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, সফটওয়্যার, ইঞ্জিনিয়াররা লাভবান হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে প্রসংশা করেন। তিনি বলেন, অল্প সময়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে আরো এগিয়ে যাবে। সারাহ কুক আগামীদিনে বাংলাদেশ ও বৃটেনের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও গভীরতর হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ এবং বাংলাদেশ ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্সসহ দু’দেশের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।