টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, আমাদের শিক্ষার্থী ও বর্তমান প্রজন্মকে দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সেই ত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মিশনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
২৫শে মার্চ (সোমবার) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত “গণহত্যা ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্মৃতিচারণ এবং আলোচনা সভা”-এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী শহীদ মোহাম্মদ শাহ এবং শহীদ তারেক হুদা-সহ এই অঞ্চলের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে তিনি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলের প্রভোস্ট এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম. হারুন-উর-রশিদ।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ হুমায়ুন করিব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার, শিক্ষক সমিতির পক্ষে সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, কর্মকর্তা সমিতির পক্ষে দপ্তর সম্পাদক জনাব মো. রুবেল মাহমুদ ও কর্মচারীদের পক্ষে জনাব মো. আব্দুর আল হান্নান।
অনুষ্ঠানমালা সঞ্চালনা উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ও উপাচার্য কার্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২৫শে মার্চের গণহত্যা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। পরে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ক্বারী নুরুল্লাহ।
গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী – বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া, মোনাজাত ও তবারুক বিতরণ এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১০:৩০ ঘটিকা থেকে ১০:৩১ ঘটিকা পর্যন্ত এক মিনিটের জন্য প্রতীকি ব্ল্যাকআউট ও পরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।