টেকসিঁড়ি রিপোর্টঃ জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা ২০২৪ এর খসড়া মতামত দেওয়ার শেষ দিন ৩১ মার্চ। জাতীয় পলিসির বেশ কিছু সংশোধন ও পরিমার্জন আলোচনা সাপেক্ষে নীতিমালা প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি, বর্তমানে বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্য ২০২৪ অনুযায়ী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৭.৫৭ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবহারকারীর লক্ষ্যমাত্রা ছিল শতভাগ। না হলেও নব্বই শতাংশ। যদিও আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হকের দেওয়া তথ্যমতে দেশে গড়ে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ শতাংশ।
সাম্প্রতিক আমেরিকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ন্যূনতম গতি ধরা হয়েছে ২৫ এমবিপিএস থেকে বাড়িয়ে ১০০ এমবিপিএস করতে তাদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করেছে এক্ষেত্রে ইন্টারনেটে সর্বোচ্চ গতি এক জিবিপিএস (গিগাবাইটস পার সেকেন্ড) ও সর্বনিম্ন গতি ৫০০ এমবিপিএস এর মধ্যে রাখার দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও আমাদের গাইডলাইনে এ ধরনের নির্দেশনা বা সংজ্ঞা বলা হয়নি।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অধিকতর গ্রাহক স্বার্থ ও জাতীয় স্বার্থে ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২৪ এর খসরায় কিছু পরিবর্তন, পরিবর্ধন প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর সকল স্টেকহোল্ডার ও গণমাধ্যম ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এই নীতিমালা অর্থাৎ জাতীয় ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২৪ বাস্তবায়ন করা হোক।
সংশোধন করার জন্য কিছু সুপারিশ তুলে ধরলেন এভাবে ঃ
(১) বর্তমান সময়ে ব্রডব্যান্ড সেবা দানকারী আই এস পি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) এর ভূমিকা ও কাজ কি এ সম্পর্কে কোন ব্যাখ্যা নাই।
(২) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ কালীন সময়ে কি পরিমান ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হবে এবং তার যোগান কিভাবে দেয়া হবে তার উল্লেখ নেই।
(৩) ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করার জন্য ফাইবার অর্থাৎ (এনটিটিএন) এ ভূমিকা কি হবে এবং নিরবিচ্ছিন্ন ফাইবার সেবা দেয়ার জন্য ৬৫% ওভারহেড ফাইবার কে কিভাবে আন্ডার গ্রাউন্ডিং করা হবে সেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি।
(৪) বর্তমান আইএসপি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের ওভারহেড তারের জঞ্জাল নিরসনের কোন লক্ষ্যমাত্রা বা প্রস্তাব নেই।
(৫) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য গ্রাহকের চাহিদা তৈরি, গ্রাহকের পর্যাপ্ত ডিভাইসের ব্যবস্থা, গ্রাহকের নিরাপত্তা, জন সচেতনতা এবং সেবার মূল্য কিভাবে নির্ধারিত হবে সেই সাথে এক দেশ এক রেট অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।
পলিসি বা নীতিমালার সবচাইতে বড় ভূমিকা পালনকারী গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সাথে নেয়া উচিত বলে তারা মনে করে।