29 C
Dhaka
১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
টেকসিঁড়ি

আগামী ১৭ বছরে বাক্কো’র সদস্য ও উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন খাতে সক্ষমতা তৈরি করতে হবে – পলক

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : আগামী ১৭ বছরে বাক্কো’র সদস্য ও উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন খাতে সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে ব্যবসায়ের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করে তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আইটি খাতের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে ট্যাক্স ছাড়ের মেয়াদ ২০৩১ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে জোর দাবি জানিয়েছি, শনিবার বাক্কোর মেম্বারস মিটে এমনটা বলেছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

৪ মে রাজধানীর সেলিব্রিটি কনভেনশন হলে আয়োজিত বাক্কোর মেম্বারস মিট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, এসপিপি, এনডিসি, পিএসসি ।

পলক বলেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিঃ কোম্পানির মাধ্যমে আমরা ইতোমধ্যে ৫০টিরও বেশি কোম্পানিকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি এবং আগামী ৫ বছরে আরো ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। ২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আইটি খাতে কর্পোরেট ট্যাক্স এক্সেম্পশন দিয়ে আসছি যেটার মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরের জুনে। আইটি খাতের বিকাশকে ত্বরান্বিত করার জন্য এটার মেয়াদ ২০৩১ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে জোর দাবি জানিয়েছি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই প্রায়শই বলেন যে সরকার একা এগিয়ে যেতে পারবে না, সরকারের সাথে সাথে বেসরকারি খাত যত শক্তিশালী হবে দেশ ততই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, এমনটা উল্লেখ করেন পলক।

বাক্কো’র প্রায় ৪০০ কোম্পানিতে প্রায় ৮০ হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ উপস্থাপন করেন; প্রথমত দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা, দ্বিতীয়ত দেশের সকল মানুষের কাছে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌছে দেওয়া, তৃতীয়ত আমাদের ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থার সেবাগুলো সকল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, এবং চতুর্থত আইসিটি শিল্পের বিকাশ। এই চারটি জায়গাতেই বাক্কো’র প্রত্যেকটা উদ্যোক্তা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। বিগত ১৫ বছরে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আমাদের ২০ লাখ তরুণক-তরুণীর কর্মসংস্থান আমরা আইসিটি সেক্টরে তৈরি করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, ইন্টারনেটের শক্তি ও প্রযুক্তির ব্যবহার করছে আমাদের কল সেন্টার এবং আউটসোর্সিং উদ্যোক্তারা। ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক ৩৩৩ থেকে প্রায় ৮ কোটি মানুষ সেবা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও ৯৯৯, ১৬২৬৩ কল সেন্টারে আমাদের তরুণ-তরুণীরা কাজ করছে এবং সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। আগামীদিনে ২০৪১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে লক্ষ্য আমাদেরকে দিয়েছেন সেটা বাস্তবায়নের জন্যে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে ২৫-৩০ হাজার তরুণ-তরুণীদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছিলাম। আইসিটি বিভাগ থেকে ১০৫০০ জন নারী উদ্যোক্তা তৈরী করেছিলাম যেখানে ২৫০০ জন কল সেন্টার এজেন্ট ছিলো। গত ১ বছরে আমরা প্রায় ২৫০০০ নারী উদ্যোক্তা তৈরি করেছি এবং তাদের প্রশিক্ষণ শেষে একটি করে ল্যাপটপ উপহার দিয়েছি। আমরা ‘সীড’ শিরোনামে নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি যেখানে প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে কমপক্ষে ১০০ জন তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্মার্ট কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

পলক বলেন, পাশাপাশি উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে আমরা ৫৫৫টি জয় সেট সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু করে দিয়েছি যেখান থেকে তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী ৫ বছরে নতুন করে আইটি খাতে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। সাথে সাথে আমরা আমাদের রপ্তানি আয়কে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই । আমরা মনে করি পোশাক শিল্পের পাশাপাশি প্রযুক্তি শিল্পই হবে আমাদের ভবিষ্যৎ রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস।

Related posts

বাজেট বরাদ্দ বাড়লো আইসিটিতে, কমলো টেলিকমে

Tahmina

বাংলা নববর্ষ উদযাপন জাতীয় গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্থান নেবে : পলক

Tahmina

নগর থেকে ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার অপসারন চাই, আইএসপিএবি’র কার্যালয় উদ্বোধনে পলক

Tahmina

Leave a Comment