টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : স্মার্ট বাংলাদেশের সকল কিছুই হবে স্মার্টভাবে, সকল ধরণের কানেক্টিভিটি তার থাকবে ভূ-গর্ভস্থ। ইতিমধ্যে আমরা দেশব্যাপী এ কার্যক্রম শুরু করেছি। ঢাকার নানান স্থানসহ বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুতের তার ভূ-গর্ভে স্থাপন করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ, টিঅ্যান্ডটি, ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেটসহ সকল ধরণের কানেক্টিভিটির তার ভূ-গর্ভে স্থাপন করা সম্ভব হবে।
৯ মে , বৃহস্পতিবার, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২য় অধিবেশনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা ও উত্তর পর্বে এমনটা জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সাফল্যের সাথে প্রযুক্তির প্রসারে আমাদের দৈনন্দিন কাজে যেমন গতি এসেছে এবং আমাদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে একইসাথে ডিজিটাল মাধ্যমে আমাদের অর্থ, তথ্য ও উপাত্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তাও তৈরি হয়েছে। আমরা সে লক্ষ্যে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০২৩ প্রণয়ন করেছি তার আলোকে আমাদের প্রশাসন, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব, কাউন্টার রেসপন্স টিম ও সাইবার সিকিউরিটি টিম নিয়মিত কাজ করছে এবং ৩৩৩ ও ৯৯৯ হেল্পলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকরা এই বিষয়ে সাহায্য নিতে পারেন। পাশাপাশি ডিজিটাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্য ও উপাত্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা ‘ব্যক্তিগত ডাটা প্রটেকশন অ্যাক্ট’ প্রণয়নের দিকেও মনোযোগী হয়েছি।
পলক বলেন, ডাক বিভাগকে আধুনিকায়ন করে ‘স্মার্ট সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে আগামীর সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতিটি ডাকঘরকে ডাক ও মেইল ডেলিভারি সার্ভিস সেবার পাশাপাশি ই-কমার্স, ব্যাংকিং, কুরিয়ার/পণ্য পরিবহন এবং সকল ধরণের ডিজিটাল সেবা প্রদানের কেন্দ্রে পরিণত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের সফল বাস্তবায়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি ও দেশব্যাপী আইটি অবকাঠামো গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আইটি হাবে পরিণত হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে মানসম্মত প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন এবং উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে এই প্রশিক্ষণের সুযোগ পৌঁছে দিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনলাইন ওয়ার্কফোর্সের দেশে উন্নীত হয়েছে। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার শিল্পে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে আইসিটি শিল্পের বিকাশ ও ২০ লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি আইসিটি আজ অন্যতম রপ্তানি শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।