টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : অবশেষে পর্দা নামলো ন্যাশনাল আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ‘ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০’ এর। শীর্ষ ৮টি টিমের মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী হয় টিম ‘স্টার্টআপ ফ্রন্টিয়ারস। তাঁরা জিতে নেয় ২৫০০০ টাকা সমমূল্যের প্রাইজমানি।
এছাড়া, প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ টিম হিসেবে ‘থ্রি বডি প্রবলেম’ পায় ১৫ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ টিম হিসেবে ‘প্রফেশনাল ইয়াপার্স’ পায় ১০ হাজার টাকার সমমূল্যের প্রাইজমানি।
ঢাকা ইউনির্ভাসিটি অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভলপমেন্ট ক্লাব (ডিইউইডিসি) কর্তৃক আয়োজিত ট্রাস্ট ব্যাংক প্রেজেন্টস্ উইথ সাউথইস্ট ব্যাংক এর পার্টনারশীপে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় তিন পর্বের এ আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠান।
গত ১৮ মে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানে অবস্থিত হোটেল বেঙ্গল ব্লুবেরিতে আয়োজিত হয় ‘ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০’ এর সমাপনী।
শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনীমুলক চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটানোর এক দারুণ সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে ২০২১ সাল থেকে আয়োজিত হয়ে আসছে এ অনুষ্ঠান। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত হয়েছে ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিসিসি এর নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) রণজিৎ কুমার। তিনি বলেন, প্রতিটি উদ্ভাবনীমূলক ধারণাই কোন না কোন সমস্যার অনন্য সমাধান হিসেবে কাজ করে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের উচিত উদ্যোক্তাদের পরিশ্রম ও তাদের প্রবল ইচ্ছাকে সম্মান জানানো, কেননা তারা তাদের মেধা দিয়ে সারা বিশ্বকে তাদের কাজের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে চান।
শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ এবং অনন্য স্টার্টআপের ধারণা উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়ার উদ্দেশ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে কলেজ থেকে স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ৪০০ টির ও বেশি সংখ্যক দল।
বুটক্যাম্প, প্রশিক্ষণ, নেটওয়ার্কিং, সার্টিফিকেট এবং আকর্ষণীয় পুরস্কারসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের সমন্বয়ে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
প্রথম পর্বে প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ করতে হয় ছয়টি অনলাইন সেশনে। দিকনির্দেশনামূলক ছয়টি সেশনে বক্তা হিসেবে ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, যাঁরা তাঁদের আলোচনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের শিল্পদ্যোগের বিভিন্ন বিষয়ে সম্যক ধারণা দেন।
প্রথম পর্বের শীর্ষ ২০টি দল বুটক্যাম্পের সুযোগ পায় আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্পে এবং এবং শীর্ষ ১০ টি দলের বুটক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বি.ওয়াই.এল.সি)-তে।
দ্বিতীয় পর্বে ১০টি দলের প্রেজেন্টেশন যাচাই-বাছাই শেষে মোট ৮টি দল ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে দিনব্যাপী আয়োজনে অতিথিগণের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অন্ট্রাপেনিউরশিপ ডেভলপমেন্ট ক্লাবের মডারেটর ও চিফ প্যাট্রন প্রফেসর ড. রাফিউদ্দিন আহমেদ, ইনোভেশন, ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট একাডেমী (আইডিয়া) প্রজেক্ট এর কনসালট্যান্ট এবং হেড অপারেশন্স জনাব সিদ্ধার্থ গোস্বামী এবং গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপেশ নাগ।
আয়োজনে স্ট্রাটেজিক পার্টনার হিসেবে ছিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর আইডিয়া প্রকল্প।