টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, উদ্ভাবন ও স্টার্টআপদের জন্য নিবেদিত ভিভাটেক-২০২৪-এ প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের ১২টি স্টার্ট-আপ বিভিন্ন উদীয়মান প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমরা এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, মাইক্রোচিপ ডিজাইন এবং সাইবার নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির সাথে আমাদের স্টার্ট-আপগুলিকে যুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছি।
২৩ মে, বৃহস্পতি বার ফ্রান্সের প্যারিসে ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি ইভেন্টে ভিভাটেক নিউজের রিপোর্টার মি. লুক ব্রাউন এর সাথে সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছর আগে বাংলাদেশে কোনো ধরনের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম ছিল না। সেখান থেকে, আমরা আমাদের তরুণ উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসতে উৎসাহিত করেছি। এছাড়া স্টার্ট-আপ ক্যাম্পেইন, এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম চালুসহ স্টার্ট-আপগুলিকে সহজতর করার জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিক-নির্দেশনায় খুব অল্প সময়ে বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে প্রায় ২৫০০টি স্টার্ট-আপ রয়েছে, যা আইসিটি সেক্টরে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের স্টার্ট-আপগুলি তাদের উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যার সমাধান করছে।
লুক ব্রাউনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, গত ১৫ বছরে ১৩০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস প্রদান করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আইসিটি খাতে রপ্তানি আয় ২৬ মিলিয়ন ডলার থেকে ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭ লাখ সক্রিয় আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, যারা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে। দেশের প্রায় ২,৫০০টি সরকারি পরিষেবা ডিজিটাইজ এবং ৫২,০০০ ওয়েবসাইট তৈরি করা করা হয়েছে।
এছাড়াও তিনি জানান, বাংলাদেশের স্কুল-কলেজে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কম্পিউটার ল্যাব এবং স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে দেশের তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা হচ্ছে।