টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনলাইন জুয়া ও পর্ণো সাইটের বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমাদের যে প্রযুক্তি আছে তা ব্যবহার করে এসব ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ বন্ধ করতে আমি বিটিআরসি, ডট ও এনটিএমসি-কে অনুরোধ করছি।
বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ের টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের (ডট) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ও যোগাযোগ অ্যাপ টেলিগ্রামে দেশে সক্রিয় রয়েছে ৫৭৫টি বেটিং সাইট। এসব জুয়ার সাইটে যুক্ত আছেন ৫১ লাখের বেশি মানুষ। যুক্তদের মধ্যে রয়েছে সরকারি কয়েকটি ওয়েবসাইটও। এছাড়াও জুয়ার মতো অনলাইনে সক্রিয় আছে ১৬২৪টি পর্ণ ওয়েব সাইট। এগুলোতে যুক্ত আছে প্রায় ৩২ লাখ মানুষ। রাজধানীর অভিজাত এলাকায় পতিতা সরবরাহ করা হয় নষ্ট মেয়ে কিংবা পাইল ভিডিও সার্ভিসের মতো ১৯৩টি এসকট সার্ভিস পেইজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে।
তিনি বলেন, এসব সাইট চাইলেই আমরা বন্ধ করতে পারি। যারা এসব ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তারা যদি মনে করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কিংবা গোয়েন্দা সংস্থা ধরতে পারবে না। এটা তাদের ভ্রান্ত ধারণা। কিন্তু কিছু অপরাধীকে শাস্তি দেয়া দরকার। তাই যারা এগুলো করবে তাদেরকে অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে। তাই যেসব তারকারা বেটিং সাইটের প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে সতর্ক করছি।
এই তথ্য উপাত্ত শুনে সেমিনারে উপস্থিত প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনলাইন জুয়া ও পর্ণো সাইটের বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশল মহিউদ্দিন আহমেদ, আইসিটি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মোঃ কামরুজ্জামান, এমটব মহাসচিব মোহাম্মাদ জুলফিকার, টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান, রবি’র কোম্পানি সচিব মোহাম্মাদ শাহেদুল আলম, বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।