21 C
Dhaka
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
টেকসিঁড়ি

উদ্বোধন হলো জাতীয়ভাবে তৈরি এআই-ভিত্তিক জিপিটি প্ল্যাটফর্ম ‘জি-ব্রেইন ’

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : বাংলাদেশের সংবিধান, বাজেট এবং স্টার্টআপ এই তিনটি জিপিটি নিয়ে নিজস্ব টুলসেটের ওপর জাতীয়ভাবে তৈরি এআই-ভিত্তিক জিপিটি প্ল্যাটফর্ম ‘জি-ব্রেইন (G Brain) এর উদ্বোধন হলো বুধবার।

৩ জুলাই আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে প্লাটফর্ম ‘জি-ব্রেইন (G Brain) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমরা আজ এআই নির্ভর জিপিটি প্ল্যাটফর্ম ‘জি-ব্রেইন’ (www.gbrainbd.ai) উদ্বোধন করলাম, ভবিষ্যতে এটা মাইগ্রেট করে আমাদের ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে হোস্ট করা হবে এবং নিয়মিত আপডেট ও ব্যবহার বান্ধব করা হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা পাবলিক-প্রাইভেট-একাডেমিয়া পার্টনারশিপের ভিত্তিতে এই কাজটা করেছি।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের সক্ষমতা তৈরির মাধ্যমে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চাই।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই বৈশ্বিক অগ্রযাত্রায় আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না। সেই লক্ষ্য অর্জনে এআই, ডেটা অ্যানালিটিক্স ও মেশিন লার্নিং এর মতো প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ সমৃদ্ধ স্মার্ট ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলা হবে। সেই স্মার্ট প্রজন্মই গড়ে তুলবে আমাদের আগামীর উন্নত সমৃদ্ধ জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, এআই এর ইতিবাচক প্রয়োগের মাধ্যমে সরকারের সকল লক্ষ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ও স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে আমরা অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ ও এডিপি নিয়ে আরও জিপিটি তৈরি করে জি-ব্রেইন’কে সমৃদ্ধ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, নিম্ন মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত এআই’কে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করেছি। পাশাপাশি এআই’র ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় এআই আইনও প্রণয়ন করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে ডাটা বা তথ্য-উপাত্ত। সেই ডাটা ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা জেনারেটিভ এআই সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্বে প্রযুক্তির প্রভাব ও প্রসারের চিত্র বদলে দিয়েছে। বর্তমানে যে দেশ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিকট যত সমৃদ্ধ ডাটা ও প্রযুক্তি আছে, সেই প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা দেশ তত বেশি সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা সম্প্রতি ওরাকলের ক্লাউড ব্যবহার করে বাংলাদেশের নিজস্ব ডাটা সেন্টার স্থাপন করেছি, যেখানে আমাদের দেশের ও নাগরিকের সকল ডাটা নিরাপদে সংরক্ষিত থাকবে।

অনুষ্ঠানের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার, ওরিয়ন ইনফরমেটিকস চেয়ারম্যান স্থপতি ইকবাল হাবিব।

Related posts

“বাংলাদেশ ডেটা সেন্টারের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান”

Tahmina

ডোম জনগোষ্ঠীর সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের – নাহিদ ইসলাম

Tahmina

ডিজিটাল রূপান্তরে বাংলাদেশ, অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে ৪ দিনের সফরে সুইডেনের প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া

Tahmina

Leave a Comment