টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ইবিএল স্কাইব্যাংকিং অ্যাপের নতুন সংস্করণ উদ্বোধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইবিএল স্কাইব্যাংকিং অ্যাপের নতুন সংস্করণ উদ্বোধন করেছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার। কিন্তু ৫জুলাই, শুক্রবার সকাল হতে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) এর গ্রাহকরা কোন প্রকার লেনদেন করতে পারছে না অনলাইনে।
সামাজিক মাধ্যমগুলোতে এই নিয়ে তোলপাড় চলছে।
ইবিএল স্কাইব্যাংকিং এর হয়রানি ভাবলাম গতকাল হয়তো অনেকেই ট্রাই করার কারনে সার্ভার জ্যাম লেগেছে যদিও এই কথা ভিত্তি নেই।। বহুত কষ্টে নিজের শ্রম আর সময় ব্যয় করে রেজিষ্ট্রেশন সম্পুর্ন করলাম। অথচ আজ টাকা ট্রান্সফার সহ কোন কাজ ই এই এ্যাপের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে না। আসলে এদের লক্ষ্য কি মানুষ কে হয়রানি করা-না অতিষ্ট হয়ে অন্যদিকে মুভ করার প্রচেষ্টা। এখানে কি তাদের তোন কর্মকর্তা আছে-বিষয়টি দেখবে কথা বলবে। একটা জঘন্য সিষ্টেম তৈরি করলাে এরা। ফেইসবুকের ব্যাংক সম্পর্কিত গ্রুপে এমন টা লিখেছেন মোঃ ফজলে হোসেন ।
আহমেদ শামিম হাসান শাওন লিখেছেন , “ফেসবুক এবং লিঙ্কডইন জুড়ে ইবিএল এপের সমালোচনা! একটা ফিনান্সিয়াল সিস্টেম, ব্যাংকের এপ কিভাবে এতটা বাজে প্ল্যানিং এবং বাজে এক্সিকিউশনের মাধ্যমে রিলিজ হতে পারে সেটা একটা আশ্চর্য! দেশের ফিনান্সিয়াল সিস্টেমের যে কি রকম বাপ মা ছাড়া এতীম অবস্থা সেটা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু এরকম সেনসিটিভ একটা প্ল্যাটফর্মের এপ যেসব ডেভেলপার, প্রোডাক্ট ম্যানেজার, সিস্টেম আর্কিটেক্টরা ডেভেলপ করে, তাঁদের এক্সকিউজটা আসলে কি? টাইট ডেডলাইন? রিকোয়ারমেন্ট ক্লিয়ার না? কোম্পানী বেতন দেয় না ঠিকমত?
নাকি এই এপ আপওয়ার্ক থেকে ডেভেলপার হায়ার করে বানানো? অথবা দাদাদের দেশের কোনো কোম্পানিকে এক বস্তা টাকা দিয়ে বানিয়ে নেয়া? সেক্ষেত্রে তো এটা নিয়ে প্রশ্ন করাই পাপ হবে! বরাবরের মতই এই প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর হয়তো পাওয়া যাবে না। কারণ এই দেশে জবাবদিহিতার কোনো বালাই নাই!”
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের এর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের কাছে প্রকৌশলী সবুজ নামে একজন গ্রাহক বলেন, প্রকৃতপক্ষে ইবিএল এর অ্যাপ ডাউন থাকার কারণে গ্রাহকরা লেনদেন করতে পারছে না আমি নিজেও একজন এই ব্যাংকের গ্রাহক হিসেবে লেনদেন করতে পারছি না। কিন্তু যখনই আমার একাউন্টে বা ব্যাংকের সার্ভারে প্রবেশ করতে চাচ্ছি তখন আমাদেরকে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার সংকেত দেখানো হচ্ছে।
এমনকি তাদের কল সেন্টার ১৬২৩০ যে কোন গ্রাহক কল করতে পারছে না। ভুক্তভোগী হাজার হাজার গ্রাহক। তিনি বলেন, প্রথমে আমি ভেবেছিলাম হয়তো আমার বাসার বা আমার মোবাইল ইন্টারনেট এর কোন সমস্যার কারণেই এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু পরে দেখলাম না আমাদের ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ইন্টারনেট ঠিক আছে কিন্তু তাদের অ্যাপ ডাউন করে রাখা হয়েছে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে তাদের কোন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতেও পারছি না।
“This is a perfect example of ডেভেলপারদের কথা না শুনে রিলিজ দিয়ে দেওয়া। আর ডেভ টিমকে এই জন্য প্যারা দিতে থাকা। কোন লোড টেস্টিং নেই, কাস্টোমার এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে মাথাব্যাথা নেই। UI রেডি আর দিয়ে দাও রিলিজ! ধন্যবাদ আপনাদের এমন সেবা দেওয়ার জন্য। সকাল ৬টা থেকে চেষ্টা করছি।” ফেইসবুকে নিজের মতামত লিখেছেন ওয়াহিদুজ্জামান হৃদয় ।
সালেকিন নেওয়াজ সামি লিখেন, ” সারাদিনের হট টপিক ছিলো ইবিএল স্কাইব্যাংকিং অ্যাপ নিউ রিলিজ নিয়ে লিংকডইন এবং ফেইসবুকে। ইবিএলে আমারও একটি একাউন্ট আছে। বাগ নিয়ে আর কিছু বলার নাই। সবাই কমনগুলো বলে দিয়েছে (ইন্টারনেট কানেকশন থাকার পর ও নাই বলতেছে, লগিন নিচ্ছে না, ক্লিক করলে আসে না কিছু, ওটিপি আসে দিলে কাজ করে না, ২-৩বার ক্লিক করলে একবার কাজ করে, আগের ডাটা কিছুই নাই, উলটা পালটা টোস্ট ম্যাসেজ দেখানো, পার্সওয়ার্ড দেওয়ার পর ও বাটন এনাবল হয় নাহ)। ”
“আমি একটা ছোট করে বলি- ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারদের আগের রিমেনিং ব্যালেন্স দেওয়ার জন্য এগিয়ে গেলে, একটা টোস্ট ম্যাসেজ দেখায়। ক্রস বাটন ক্লিক করলে ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যায়।পেমেন্ট দেওয়ার সিস্টেম নাই। সারাদিন পর এখন লগিন করলাম, অনেক খারাপ অবস্থা অ্যাপ এর। QA টিমের চাকরি আছে নাকি গেছে, আল্লাহ জানে….যেভাবে সবাই ম্যানশন দিচ্ছে ওদেরকে। ”
তাকিফ আহমেদ শাওন লিখেন, আমি কাতার থাকি , অনেক দিন যাবত ইবিএল স্কাইব্যাংকিং অ্যাপ ইউজ করি। এখন আমি নতুন অ্যাপ দিয়ে লগিং করতে পারছিনা। নতুন এপ রিলিজ পাবার পর থেকেই সমস্যা চলছে। হতেই পারে, নিউ এপ। তাদের উচিৎ ছিলো নতুনটা বেটা তে রেখে পুরনো টা চালু রাখা, পরে বাগ ফ্রি করে পুরনো টা অফ করে দেয়া। ভালো করে বাগ চেক না করে রিলিজ তো করা হয়েছেই, পুরনোটাও শাট ডাউন করা হয়েছে, অত্যন্ত বাজে স্বিদ্ধান্ত।