টেকসিঁড়ি রিপোর্টঃ কোটা সংস্কার আন্দোলন পরবর্তী সময়ে জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও স্বাভাবিক হচ্ছে না ইন্টারনেটের গতি।
প্রশ্ন হচ্ছে ইন্টারনেট চালুর হবার পরেও কেন ধীর গতি ইন্টারনেটের ? এই বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েসন (ISPAB) এর পরিচালক সাকিফ আহমেদ এর কাছে।
তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার ফলে আমাদের ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলের ক্যাশ সার্ভারগুলো বৈশ্বিক সার্ভারগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হচ্ছিল না। ফলে এই ক্যাশ সার্ভারগুলো ফেসবুক কিংবা ইউটিউবের মতো সার্ভিসগুলোর ডাটা সংরক্ষন করতে পারছিল না। তাই সাম্প্রতিক সময়ে যখন ইন্টারনেট চালু করা হয় তখন আমাদের দেশের ইউজাররা ক্যাশ থেকে কোন ডাটা পাচ্ছে না। আমরা ফেসবুক কিংবা ইউটিউবের যেই ডাটা পাচ্ছি সেগুলো সব বৈশ্বিক সার্ভার এর মাধ্যমে পাওয়া। ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় ব্যান্ডউইথ খরচ হচ্ছে দ্বিগুন।
তিনি বলেন, যদিও গুগল, ইউটিউব এর ক্যাশ রেডি হয়ে গেছে কিন্তু চলমান ইস্যুতে ফেসবুকের ক্যাশ পেতে একটু সময় লাগছে। এবং এই সময় টা ধরা হয়েছে আনুমানিক ৭২ ঘন্টা। মুলত এই কারেনেই ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি ফিরে পেতে সময় লাগছে।
উল্লেখ্য যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হলে ১৭ জুলাই (বুধবার) রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাত নয়টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়।