টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে আইসিটি টাওয়ারের বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ফ্লোরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলা শিকার হয়েছেন সাংবাদিক এস এম ইমদাদুল হক। এই ঘটনায় রবিবার অব্দি আলটিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)।
বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) এর সভাপতি নাজনীন নাহার বলেন, আমরা রবিবার পর্যন্ত তাদের আল্টিমেটাম দিয়ে এসেছি । দেখি উনারা কি করেন তারপরে অবশ্যই আমরা সর্বদিক থেকে সার্বিকভাবেই এ বিষয়ে আমাদের দৃঢ় পদক্ষেপ নিব। শুধু সংগঠনই নয় দল মত নির্বিশেষে সকল সাংবাদিকের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
হাইটেক পার্কের হিসাবরক্ষক মোশাররফ হোসেন পারভেজ, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক-কাম অফিস সহকারী সেলিম মাহমুদ এবং শর্মিলী খাতুনের নেতৃত্বে এ হামলার অভিযোগ উঠেছে।
সাংবাদিক এস এম ইমদাদুল হক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডিজিবাংলার নির্বাহী সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) নির্বাহী সদস্য।
হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংবাদিক ইমদাদুল। ঘটনার বিষয়ে তিনি জানান, দুপুরের দিকে আইসিটি টাওয়ারে গিয়ে তিনি দেখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মচারীরা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের স্লোগান শুনে দেখতে যান ইমদাদ। এরপর আন্দোলনকারীরা চলে যেতে বললে ইমদাদ চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় ইমদাদকে পেছন থেকে জাপটে ধরে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি দেন মোশাররেফ হোসেন পারভেজ এবং সেলিম মাহমুদ। হামলা থেকে বাঁচতে প্রথমে জনসংযোগ কর্মকর্তা জুয়েল কিবরিয়ার কক্ষের দিকে এগোতে যান তিনি। দ্বিতীয় দফায় আবারও ইমদাদের ওপর আক্রমণ করে। পাশে থেকে শর্মিলী খাতুন অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হামলা করতে আরও উৎসাহ দেন।
ইমদাদ বলেন, কোনোমতে আমি প্রাণ নিয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তার কক্ষে আশ্রয় নেই এবং তাদের পাহারায় এমডির রুমে যাই। ঘটনাদৃষ্টে তাদের আচরণ কর্মচারীর চেয়ে সন্ত্রাসী বলেই মনে হয়েছে। পরে আমার সহকর্মীরা আমাকে রক্ষায় এমডির রুমে এসে আলাপ করে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
ইমদাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অভিযোগ অনুসন্ধান করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের এমডি জিএসএম জাফরউল্লাহ।
বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং পরবর্তীতে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন।
জনসংযোগ কর্মকর্তা জুয়েল কিবরিয়া এই সময় সাংবাদিকের পাশে ছিলেন , তিনি এই ঘটনায় সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।