টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ২২ আগস্ট ২০২৪ তারিখ সকাল আটটার রিপোর্ট অনুযায়ী বন্যা প্লাবিত ১১টি জেলায় মোট ৬৯৮৬ টি সাইটের (টাওয়ার) মধ্যে ৫৪৭৬ টি সাইট সচল আছে। অচল টাওয়ারের হার ২১.৬ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী এবং খাগড়াছড়ির টাওয়ার যার শতকরা হার যথাক্রমে ৪২.৪% এবং ৪১.৫%। অচল টাওয়ারসমূহ দ্রুত সচল করার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়।
বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি V-SAT প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তন্মধ্যে ৫ টি V-SAT ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল টাওয়ার সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানিদের বিটিআরসি হতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও অপারেটরদের সাথে বিটিআরসি হতে ভার্চুয়ালি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।
টেলিকম অপারেটরদের সাইটসমূহ সচল রাখার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং বিতরণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বিটিআরসি সমন্বয় সাধন করছে।
টেলিকম অপারেটরদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অটুট রেখে পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপ (ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল জেনারেটর ইত্যাদি) এর ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনী, কুমিল্লা সহ অন্যান্য অঞ্চলের জনগণের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।