টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতি, জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং কৌশলগত অবস্থান সহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ ডেটা সেন্টারের জন্য একটি আকর্ষণীয় অবস্থান হয়ে উঠছে।
“বাংলাদেশে ডেটা সেন্টার এবং ক্লাউড পরিষেবাগুলির ভবিষ্যত ব্যবসার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য” এর উপর এক প্যানেল আলোচনায় এমন কথা বলেন ফেলিসিটি আইডিসির সিইও শারফুল আলম।
ইনফোসেক ২০২৪ এর ২য় সংস্করণ ২৬ অক্টোবর , শনিবার বিকেল ৫ টা থেকে ৯ টা অব্দি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত হয়।
প্যানেলিস্টদের সমন্বিত আলোচনা পরিচালনা করেন বিডিএসএফ এর জিএস মুহিব্বুল মুক্তাদির তানিম। আলোচক ছিলেন, বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার লিমিটেড এবং ডিজাস্টার রিকভারি লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইসহাক মিয়া, শারফুল আলম, ফেলিসিটি আইডিসি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা; মাসুদ পারভেজ, ডিজিকন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক; এবং ইন্টারক্লাউড লিমিটেডের পরিচালক ও সিএমও মোঃ হাসিবুর রশিদ।
শারফুল আলম বলেন, ২০১০ সালে বাংলাদেশে মাল্টি-টেন্যান্ট ডেটা সেন্টারগুলি শুরু হয়েছিল তবে এখন এটি স্নাতক হওয়ার এবং বিশ্বের একটি আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড ডেটা সেন্টার হাব হিসাবে আবির্ভূত হওয়ার সময়। এটি অবশ্যই আর ছোট বিনিয়োগকারীদের খেলা নয় তবে এটি যথেষ্ট বড় ব্যবসাও নয় যে আমাদের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা যাদের এ সম্পর্কিত ব্যবসা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা খুব উচ্চ মানের ডেটা সেন্টার স্পনসর, নির্মাণ, মালিকানা এবং পরিচালনা করতে পারে। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে, তাদের বাংলাদেশে ডেটা সেন্টারের সম্পূর্ণ বা আংশিক মালিক করে, আমরা তাদের আমাদের সার্বভৌম সংবেদনশীল তথ্যে ট্যাপ করার আইনি অধিকার দিয়ে ফেলি।
আলোচনায় আলোচকরা বাংলাদেশে নির্মিত ডেটা সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরাপত্তা এবং ব্যবসার ধারাবাহিকতা সম্পর্কে গ্রাহকদের সাথে আস্থা তৈরির পাশাপাশি স্থায়িত্বের দিকে নজর দেওয়া দরকার বলে উল্লেখ করেন। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণভাবে, বিদেশী সহযোগিতা ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা প্রচেষ্টার সাথে সংযুক্ত হতে পারে বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।