23 C
Dhaka
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
টেকসিঁড়ি

সাইবার সিকিউরিটি, ই গভর্নেন্স, ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ডেটা প্রটেকশন নিয়ে কাজ করতে চায় ইইউ

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : সাইবার সিকিউরিটি, ই গভর্নেন্স, ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ডেটা প্রটেকশন, আইটি সেট‌আপ নিয়ে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী ইইউ । তাছাড়া যে কোন কারিগরি বিষয়ে তারা পরামর্শ দিতে প্রস্তুত বলে জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

২৭ অক্টোবর, রবিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ) দূতাবাসের প্রতিনিধি দল ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এর সাথে দেখা করে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার, ডিজিটালাইজেশন, গণমাধ্যম সংস্কার এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি কথা বলতে এসেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি কারণ সংস্কার যদি সঠিকভাবে না হয় তাহলে নির্বাচন ফলপ্রসূ হবে না। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডেমোক্রেটিক ট্রানজেশন চাচ্ছি। তার আগে বেসিক কিছু সংস্কার করতে চাই। আমাদের এখন মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়ন করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা।

তিনি গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে বহির্বিশ্বে নানারকম অপপ্রচার চলছে সেটা রোধে এবং গণহত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চান। তাছাড়া গণঅভ্যুত্থানে আহত নিহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে ও ইইউর সহযোগিতা চান ।

ইইউ রাষ্ট্রদূত আইসিটি বিভাগের সাথে ১০ মিলিয়ন ইউরোর ই ইফেক্টিভ গভর্নেন্স বিষয়ক প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, উন্নয়ন সহযোগি সংস্থার সাথে চলমান প্রকল্প গুলো অব্যাহত থাকবে তবে কিছু প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে। বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

উপদেষ্টা বলেন, মিডিয়ার গুণগত মান ও পেশাদারিত্ব কিভাবে বাড়ানো যায় সে কথা ভাবা হচ্ছে। শুধু সরকার বা আইন দিয়ে মিডিয়ার গুণগত মান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। মিডিয়ায় পেশাদারিত্বের চর্চা দরকার সেজন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। তরুণ মেধাবীরা যেন মিডিয়ায় কাজ করতে আগ্রহী হয় সেজন্য তাদের সিকিউরিটি এবং বেতন কাঠামো নিয়ে ভাবা হচ্ছে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সংস্কার কে অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ধরে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে গ্যাজেট প্রকাশিত হবে। স্টেক হোল্ডারদের কাছ থেকে প্রস্তাবনা নিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করা হবে বলেও জানান উপদেষ্টা।

পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মধ্যে দিয়ে সাক্ষাৎকার শেষ হয়। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, দূতাবাসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফানি ফারমাকি সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Related posts

নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বাড়াতে এআই যুক্ত করবে হুয়াওয়ে

Tahmina

২০২৪ সালে ভূমিকম্পের যে সব অ্যাপ সেরা

Tahmina

আপনার স্মার্টফোন আপনার সম্পর্কে যা যা জানে (পর্ব -১)

Tahmina

Leave a Comment