টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মার্কিন অস্ত্র স্ক্যানিং কোম্পানি ইভলভ টেকনোলজিকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। মার্কিন সরকারের সাথে প্রস্তাবিত সমঝোতায় তারা তাদের পণ্য সম্পর্কে ভুল তথ্য দাবি করেছে। এআই স্ক্যানার ব্যবহারকারীদের ‘প্রতারিত’ করেছে।
এফটিসি ( ফেডারেল ট্রেড কমিশনে ) অভিযোগ করেছে যে, কোম্পানিটি প্রতারণামূলকভাবে বিজ্ঞাপন দিয়েছে যে তাদের স্ক্যানারগুলি “সমস্ত অস্ত্র” সনাক্ত করতে পারে। তাদের এআই স্ক্যানার, হাজার হাজার মার্কিন স্কুল, হাসপাতাল এবং স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে ব্যবহৃত, সমস্ত অস্ত্র সনাক্ত করতে পারে। তবে বিবিসি তদন্তে এই দাবিগুলো মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এই বছরের শুরুতে বিবিসি জানিয়েছে যে ইভলভের দাবি যে ইউকে সরকার তাদের প্রযুক্তি পরীক্ষা করেছে এবং অনুমোদন করেছে সেটাও মিথ্যা।
ইভলভ ভুল স্বীকার না করে বলেছে এটি এখন ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
এদিকে এফটিসি বলেছে যে নিষিদ্ধ করার এই পদক্ষেপটি অন্যান্য এআই সংস্থাগুলির জন্য একটি সতর্কতা হওয়া উচিত। “এফটিসি স্পষ্ট করেছে যে প্রযুক্তি সম্পর্কে কোম্পানির দাবি – কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ সেটার ব্যাক আপ করা দরকার”, বলেছেন স্যামুয়েল লেভিন, ব্যুরো অফ কনজিউমার প্রোটেকশনের পরিচালক ৷
ইভলভ টেকনোলজির লক্ষ্য, এআই অস্ত্র স্ক্যানার দিয়ে মেটাল ডিটেক্টর প্রতিস্থাপন করা। এটি তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে করার দাবি করে, যা সক্রিয়ভাবে বোমা, ছুরি এবং বন্দুকের মতো লুকানো অস্ত্র সনাক্ত করতে পারে।
২০২৩ সালে বিবিসি রিপোর্টে নিউ ইয়র্কের একটি স্কুলে ছুরিকাঘাতের বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছিল যেখানে ইভলভের অস্ত্র স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়েছিল। ইউটিকা স্কুলের তৎকালীন সুপারিনটেনডেন্ট বিবিসিকে বলেছিলেন, “এটি সত্যিই, সত্যিই ছুরি খুঁজে পায় না।”
ইউএস কনজিউমার ওয়াচডগের প্রস্তাবিত বন্দোবস্তের অধীনে, ইভলভকে তার পণ্যের অস্ত্র শনাক্ত করার ক্ষমতা সম্পর্কে দাবি করা থেকে নিষিদ্ধ করা হবে এবং কিছু স্কুল গ্রাহকদের তাদের চুক্তি বাতিল করার বিকল্প দেওয়া হবে। এটি এখন অনুমোদনের জন্য বিচারকের কাছে যাবে।