টেকসিঁড়ি রিপোর্টঃ চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলায় ৫৯ হাজার উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ সক্ষমতা সেবা জিপনের উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছে । ডাক , টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, আজকে যে জিপন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম বিভাগে ১১টি জেলায় ৫৯ হাজার উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার উদ্বোধন করা হলো, সেটি মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের ব্রেইন চাইল্ড। তিনি যদি এই প্রকল্পের নির্দেশনা না দিতেন এবং বিটিসিএলের সক্ষমতা না বাড়াতেন তাহলে ল্যান্ডফোন নির্ভর সেবা প্রদান করে বিটিসিএলের টিকে থাকা দুরূহ হয়ে যেতো।
পলক বলেন, প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, ১৯৭৩ সালে যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্য পদ গ্রহণ করেন তখন কেউ কল্পনা করেনি যে টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি সকল যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।
তিনি বিটিসিএলকে আগামীদিনে একটি স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন। সারা বাংলাদেশে আমরা বিটিসিএলের অধীনে ৪ লক্ষ নতুন প্রযুক্তির জিপন কানেকশন দিতে পারবো। চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৯ হাজার জিপনের কানেকশনের সক্ষমতা আছে বিটিসিএলের। সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্যই আমরা ভাষার মাসে বিল কমিয়ে অর্ধেকে নিয়ে এসেছি।
সারাদেশে ১ কোটি ৩০ লাখ ফিক্সড ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি, ১৩ কোটি মোট ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি যার মধ্যে ১২ কোটি মোবাইল ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি রয়েছে। আমরা যদি বিটিসিএলের মাধ্যমে নতুন ৪ লক্ষ সংযোগ অ্যাকটিভ করতে পারি তাহলে চারশো কোটি টাকা আয় হবে। আগামী জুনের মধ্যে চট্টগ্রামে ৩০ হাজার সংযোগ নিশ্চিত করা হবে বলে পলক আশা করেন।
বিটিসিএলের মানবসম্পদ, প্রযুক্তি সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব। ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল ব্যাকবোন হবে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি, আর এটাকে মানুষের সুলভ মূল্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হবে বিটিসিএল , প্রত্যাশা প্রতিমন্ত্রীর।