টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : সোমা গজ গজ করতে ঘরে ঢুকলো । কি কারণ ? বাজারে গিয়ে জিনিস পত্রের দামের সাথে ব্যাগের টাকার কমতি। কাঁচা মরিচ , লেবু , বেগুন কিনতে গিয়ে আর কিছুই কিনা হল না । এদিকে বাজারে গিয়ে মাছের দর দেখে মাথায় হাত দিলো লিমন। কি অদ্ভুত কান্ড! এমন কেন ? একেক জন একেক দাম হাঁকায়।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম একেক বাজারে একেক রকম রাখা হয়। ভোক্তার ভোগান্তির অন্ত থাকে না। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো হিমশিম খায় বাজারের পণ্যের গরমে। নিম্ন বিত্তের পরিবার তো টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে দিন পার করে দেয়। দোকানির সাথে প্রতিদিন তর্ক বিতর্ক লেগেই থাকে ক্রেতাদের। যার কাছে যা পায় তেমন দাম নেয় বিক্রেতারা । যেন দেখার কেউ নেই , বলার কেউ নেই । দায় দায়িত্বহীনের মত একটা ভোক্তা সমাজ প্রতিদিন এই নিয়ে হা পিত্যেস ঝাড়ে সামাজিক মাধ্যমে। এই সব ভোগান্তি দূর করতে ভোক্তা অধিকার নিয়ে এলো বাজারদর অ্যাপ।
সম্প্রতি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলীম আক্তার খান উদ্বোধন করেছেন ‘বাজারদর’ নামের নতুন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। এখন থেকে দেশের যেকোনো প্রান্তে বসেই জানা যাবে খুচরা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সর্বোচ্চ দাম।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চাহিদার ভিত্তিতে ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যাপটি তৈরি করেছে।
অ্যাপটির নির্মাতা ইব্রাহিম মোল্লা জানিয়েছেন, বাজারদর অ্যাপ বাজারে দামের কারসাজি রোধে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করবে। ফলে কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা এবং ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করা সহজ হবে।
কিভাবে পাবেন
গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। এরপর আপনাকে বিভাগ ও জেলা নির্বাচন করে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। ‘খাদ্যসামগ্রী’ বা ‘অন্যান্য’ ক্যাটাগরি থেকে নির্দিষ্ট পণ্য বেছে নিয়ে প্রতিদিনের দাম দেখা যাবে। ব্যবহারকারীর সুবিধার্থে অফলাইনেও অ্যাপটি ব্যবহার করা সম্ভব। বর্তমানে এই বাজারদর অ্যাপের মাধ্যমে ৬৪টি জেলার খুচরা বাজারে পণ্যের সর্বোচ্চ দর দেখা যাবে।