টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় দেশের সকল নাগরিককে এক ঠিকানায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চালু হয়েছে “নাগরিক সেবা” প্ল্যাটফর্ম।
নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং সরকারি সেবা সহজলভ্য করতে প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ গুরুত্বসহকারে এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশের সব প্রান্ত থেকে নাগরিকরা সহজে সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
২২ জুন আগারগাঁয়ের আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অডিটোরিয়ামে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেন, “এক ঠিকানায় সকল সরকারি সেবা সহজে ও ঝামেলামুক্তভাবে নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। যারা নিজেদের ডিজিটাল ডিভাইস যেমন স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে সেবা নিতে পারবেন না, তারা নাগরিক সেবার উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে সহজেই এসব সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আমরা ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার, সরকারি কর্মকর্তাদের ডিজিটাল দক্ষতা এবং সাইবার সিকিউরিটি সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কাজ করছি।”
সভাপতির বক্তব্যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “আগে সরকারি সেবাগুলো বিচ্ছিন্ন ছিল, আধা ডিজিটাল ও আধা কাগজের মাধ্যমে কাজগুলো করতে হতো। নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমরা এসব সমস্যার সমাধান করছি। এই প্ল্যাটফর্মে একবার লগইন করেই নাগরিকরা বহু ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে সময়, অর্থ ও শ্রমের সাশ্রয় হবে।”
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মামুনুর রশীদ ভূঞা বলেন, “আগামী ২৬ জুনের মধ্যে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে তাদের নাগরিক কেন্দ্রিক সেবার তালিকা পাঠাতে হবে এবং নির্ধারিত ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগসহ পরিষ্কার নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। সেবা ইন্টিগ্রেশনে ভেন্ডর ও টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।“ নাগরিক সেবা উদ্যোগটি প্রধান উপদেষ্টার নিজস্ব উদ্যোগ হওয়ায় এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।
বর্তমানে নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ৮১টি সরকারি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশনের গুলশান ও উত্তরাতে দুইটি কেন্দ্রে এই কার্যক্রম চলছে এবং শীঘ্রই নীলক্ষেতে আরেকটি কেন্দ্র চালু হবে।
পরীক্ষামূলক পর্ব সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলার সকল উপজেলা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে নাগরিক সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা হবে।
প্রধান অতিথি ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব কর্মশালায় আগত অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ।
উল্লেখ্য, এই উদ্যোগকে সফল করতে প্রধান উপদেষ্টা সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে তাদের অন্তত দুটি সেবা অনলাইনে এনে নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সংযুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।