টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : নভেম্বরের মধ্যেই ডাক এবং কুরিয়ারের সংশোধিত আইন মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করা যাবে। যেহেতু ঠিকানা ব্যবস্থাপনার সাথে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার সেজন্য বিষয়টাকে ডাক এবং কুরিয়ার আইন হালনাগাদের মাধ্যমে এড্রেস করার কাজ করছি।
৯ অক্টোবর, ২০২৫, বৃহস্পতিবার, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক বিভাগের সভাকক্ষে বিশ্ব ডাক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এড্রেস ম্যানেজমেন্ট ( ঠিকানা ব্যবস্থাপনা) এর বর্তমান স্ট্রাকচার ডিজিটাল ইকোনমিক জন্য উপযোগী নয় তাই বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে এড্রেস ম্যানেজমেন্টকে ডিজিটাল করার চেষ্টা করছি। যেখানে এরিয়া কোড, স্ট্রিট কোড এবং হাউজ কোড গুলো সমন্বিত করা হবে এবং একই সাথে এড্রেসের সাথে জিও ফেন্সিং করা হবে।
বিশেষ সহকারী আরও বলেন, মেইল এবং পার্সেল ট্রাকিং সিস্টেম এর আওতায় বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ট্র্যাকিং করা যায় তাই এই ট্রাকিং সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার এর মান উন্নয়নের মাধ্যমে ত্রুটিহীন করার কাজ শুরু হয়েছে। যার মাধ্যমে মেইল এবং পার্সেল ট্রাকিং প্রায় শতভাগে উন্নীত হবে।
তিনি বলেন, ই-কমার্সের সাথে ডাক বিভাগকে সমন্বিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যাতে শহর এবং গ্রামে মানুষ একইভাবে সেবা পায়। পাশাপাশি ই কমার্সের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়া আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষ সহকারী আরও বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা ডাক বিভাগের মোট সম্পদের পাশাপাশি বেদখল সম্পদের তালিকা প্রস্তুত করেছি। দ্রুতই বিভাগীয় কমিশনার এবং ডিসিদের সমন্বয়ে ডাক বিভাগের বেদখল সম্পদ পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শুরুতে ডাক ভবনের সামনের রাস্তায় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক দিবস উপলক্ষে ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩:৩০ টায় “আগামীর ভাবনায় ডাক” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ডাক সেবার ডিজিটাল রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা মতবিনিময় করবেন।
দিবস উপলক্ষে ডাক ভবনের নিচ তলায় মেলার আয়োজন করা হয়েছে যেখানে ২০ স্টল রয়েছে পাশাপাশি অতি প্রাচীন ডাকটিকেটের প্রদর্শনীয় চলছে যা দশ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
১০ অক্টোবর (দ্বিতীয় দিন): সকাল ১০:০০ টায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিকেলে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকেট উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাবুদ্দিনসহ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।