টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : গাড়ি ব্যবহারকারীদের গাড়ি মেরামতের খরচ সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা কমাতে ‘যান্ত্রিক সার্টিফাইড কার’ নামের সেবা এনেছে অটোমোবাইল মেইনটেন্যান্স স্টার্টআপ ‘যান্ত্রিক’।
“যান্ত্রিক সার্টিফাইড কার” নামের এই উদ্ভাবনী সেবার আওতায়, গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ ২৫ টি অংশের ‘বিস্তারিত হেলথ চেকাপ’ এর পর পরবর্তী যে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির ক্ষেত্রে গাড়ির মালিকরা মেরামত খরচের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কভারেজ পাবেন যান্ত্রিক থেকেই।
পাশপাশি “যান্ত্রিক সার্টিফাইড কার” গ্রহণকারী প্রত্যেক গ্রাহক পাবেন বিটিআরসি অনুমোদিত জিপিএস ট্র্যাকিং সল্যুশন প্রোভাইডার ‘বন্ডস্টাইন’ এর পক্ষ থেকে একটি ট্র্যাকিং ডিভাইস। এর মাধ্যমে গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি চুরি সংক্রান্ত দুশ্চিন্তাও দূর হবে। জিপিএস এর মাধ্যমে ব্যবহারের প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গ্রাহক ‘ইনটেলিজেন্ট মেইন্টেনেন্স নোটিফিকেশন’ও পাবেন।
যান্ত্রিকের প্রতিষ্ঠাতা এবং উদ্যোক্তা শুভ আল ফারুক বলেন, “বাংলাদেশে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো সঠিক সময়ে সমস্যার ব্যাপারে জানতে না পারা এবং অনেক ক্ষেত্রে অদক্ষ টেকনিশিয়ানের কারণে খরচ বেড়ে যাওয়া। আমাদের ‘যান্ত্রিক সার্টিফাইড কার’ সেবাটি এই দুটি সমস্যারই সমাধান করবে। এর ফলে শুধু রক্ষণাবেক্ষণই সহজ হবে না, গাড়ি বিক্রির সময়ও বিক্রেতারা ভালো দাম পাবেন এবং ক্রেতারা আস্থার সাথে গাড়ি কিনতে পারবেন।”
বন্ডস্টাইন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর শাহরুখ বলেন, “সবক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য ও দ্রুত সেবা এখন গ্রাহকদের প্রধান চাহিদা। গাড়ির মালিকদের দুশ্চিন্তা কমাতে যান্ত্রিকের সাথে আমাদের এই যৌথ উদ্যোগ। রক্ষণাবেক্ষণের সাথে জিপিএস ট্র্যাকিং গ্রাহকদের একটি সত্যিকারের ডিজিটাল লাইফস্টাইল উপভোগের সুযোগ করে দেবে।”
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান দুইটির পক্ষ থেকে এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “যান্ত্রিক সার্টিফাইড কার” সেবাটি মূলত গাড়ির বর্তমান অবস্থার ভিত্তিতে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রদান করে। রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়ার সময় যান্ত্রিকের বিশেষজ্ঞরা গাড়ির প্রতিটি যন্ত্রাংশের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সেগুলোর হেলথ কন্ডিশন এবং কিলোমিটার অনুযায়ী সেগুলোর সম্ভাব্য মেয়াদকাল উল্লেখ করে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করেন।
ফলে গাড়ির মালিক আগে থেকেই জানতে পারেন যে তার গাড়ির কোন যন্ত্রাংশের কী অবস্থা এবং কখন সেটি পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। ফলে, অপ্রত্যাশিত বড় খরচ ও ঝুঁকি আগেই এড়ানো সম্ভব হয়।
মেয়াদের ভেতর গাড়ির যন্ত্রাংশের পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে, যান্ত্রিক নিজেই সেটি মেরামতের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ দেবে। ফলে গাড়ির কোন সমস্যা হলে সেটি মেরামতের খরচ নিয়ে গাড়ির মালিকের কোন দুশ্চিন্তা আর থাকবে না।