টেকসিঁড়ি রিপোর্টঃ প্রযুক্তি জগতে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে গুগল। গুগল সম্প্রতি জেমিনি অ্যাপে একটি নতুন এআই-ভিত্তিক ইমেজ এডিটিং টুল চালু করেছে, যার কোড নাম “ন্যানো ব্যানানা”। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জেমিনি ২.৫ ফ্ল্যাশ ইমেজ নামে পরিচিত। এই টুলটি ইমেজ এডিটিং-এর জগতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা অনেককে প্রচলিত ডিজাইন সফটওয়্যার যেমন ফটোশপ এবং ক্যানভা-এর বিকল্প হিসেবে ভাবতে বাধ্য করছে।
ন্যানো ব্যানানার মূল বৈশিষ্ট্য
ন্যানো ব্যানানা মূলত প্রাকৃতিক ভাষা ব্যবহার করে ইমেজ এডিটিং এবং তৈরি করার ক্ষমতা নিয়ে এসেছে। এর কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলো:
ক্যারেক্টার কনসিস্টেন্সি: ন্যানো ব্যানানার অন্যতম শক্তিশালী দিক হলো এর ক্যারেক্টার কনসিস্টেন্সি বজায় রাখার ক্ষমতা। এই মডেলটি একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর চেহারা এবং বৈশিষ্ট্য একাধিক ইডিটে বা ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যে একই রকম রাখতে পারে।
মাল্টি-ইমেজ ফিউশন: এটি একাধিক ছবিকে একত্রিত করে একটি নতুন ছবি তৈরি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার এবং আপনার পোষা প্রাণীর দুটি ভিন্ন ছবি আপলোড করে একটি নতুন ছবিতে তাদের একসঙ্গে দেখাতে পারেন।
প্রম্পট-ভিত্তিক এডিটিং: এই টুলের মাধ্যমে আপনি কেবল টেক্সট প্রম্পট ব্যবহার করে ছবির বিভিন্ন অংশ পরিবর্তন করতে পারেন। যেমন, আপনি একটি ছবিতে একটি গাড়ির রং পরিবর্তন করতে পারেন বা একটি টি-শার্ট থেকে দাগ মুছে ফেলতে পারেন।
রিয়েল-টাইম এডিটিং: ন্যানো ব্যানানা খুব দ্রুত কাজ করে। এটি প্রম্পট অনুযায়ী প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে ছবি পরিবর্তন করে দেখায়, যা পেশাদার ডিজাইনারদের সময় বাঁচায়।
ডিজাইনারদের ভবিষ্যৎ কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও ন্যানো বানানা এআই অসাধারণ ক্ষমতা রাখে, তবুও এটি এখনই পুরোপুরি পেশাদার ডিজাইনারদের বিকল্প হতে পারবে না। জটিল ও সৃজনশীল কাজের জন্য এখনো মানুষের দক্ষতা প্রয়োজন হবে। তবে সাধারণ লোগো, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট কিংবা সাধারণ ফটো এডিটিংয়ের জন্য এই এআই ভবিষ্যতে মূলধারার টুল হয়ে উঠতে পারে।
সবশেষ
গুগলের ন্যানো বানানা এআই ডিজাইন জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি সত্যিই ফটোশপ, ক্যানভা কিংবা অন্যান্য জনপ্রিয় টুলকে প্রতিস্থাপন করবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত—ডিজাইনের ভবিষ্যৎ এখন এআই-এর হাতেই।