টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ‘অ্যাভাটার’ পরিচালক জেমস ক্যামেরন বলেছেন, জেনারেটিভ এআই ‘ভয়ঙ্কর’।
“জেমস ক্যামেরনের সিনেমাগুলো প্রায়শই ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস প্রযুক্তির দিক থেকে একেবারে সামনের সারিতে থাকে—বিশেষ করে ‘অ্যাভাটার’ সিনেমাগুলো, যেখানে পারফরম্যান্স ক্যাপচারের মাধ্যমে নীল রঙের বীর নাভি (Na’vi) চরিত্রগুলোকে জীবন্ত করে তোলা হয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ক্যামেরন জেনারেটিভ এআই (Generative AI)-এর ভক্ত।”
অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ (Avatar: Fire and Ash) সিনেমার আসন্ন মুক্তি উপলক্ষে ‘সিবিএস সানডে মর্নিং’-এর একটি সাক্ষাৎকারে পরিচালক স্বীকার করেছেন যে, পারফরম্যান্স ক্যাপচার (যে প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল শিল্পীদের জন্য ভিত্তি হিসেবে অভিনেতার অভিনয় রেকর্ড করা হয়) শুনতে অনেকটা জেনারেটিভ এআই-এর (GenAI) মতো মনে হতে পারে। তবে তিনি বলেছেন, বাস্তবে এটি ঠিক “তার উল্টো”।
ক্যামেরন বলেন, “বছরের পর বছর ধরে এমন একটা ধারণা ছিল যে, ‘ওহ, তারা কম্পিউটার দিয়ে অদ্ভুত কিছু করছে এবং অভিনেতাদের সরিয়ে দিচ্ছে। অথচ বাস্তবে, আপনি যখন গভীরভাবে বিষয়টির ভেতরে ঢুকবেন এবং দেখবেন আমরা কী করছি, তখন বুঝবেন এটি আসলে অভিনেতা ও পরিচালকের সেই বিশেষ মুহূর্তটিরই উদযাপন।”
“বস্তুত, সিবিএস-এর এই অংশে দেখা গেছে যে ‘অ্যাভাটার’-এর অভিনেতারা ২,৫০,০০০ গ্যালন জলের বিশাল এক ট্যাঙ্কে তাদের জলের নিচের দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করছেন।
ক্যামেরন আরও বলেন, ‘এর ঠিক বিপরীত মেরুতে গেলে আপনি পাবেন জেনারেটিভ এআই, যেখানে তারা একটি চরিত্র বানাতে পারে, একজন অভিনেতা তৈরি করতে পারে, এমন কি শুধুমাত্র লিখে নির্দেশ (text prompt) দিয়ে শূন্য থেকে সম্পূর্ণ একটি অভিনয়ও তৈরি করে ফেলতে পারে। না, এটা ভয়াবহ… আমরা ঠিক এই কাজটিই করছি না।’”
জেমস ক্যামেরন (James Cameron) হলেন আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত পরিচিত একজন কানাডিয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, এবং উদ্ভাবক (inventor)। তিনি চলচ্চিত্র শিল্পে তাঁর প্রযুক্তির ব্যবহারে অত্যাধুনিক এবং বিশাল বাজেটের সিনেমাগুলোর জন্য বিখ্যাত। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত সিনেমাগুলো:
দ্য অ্যাবিস (The Abyss), টাইটানিক (Titanic): (১৯৯৭), অ্যাভাটার (Avatar) ফ্র্যাঞ্চাইজি: (২০০৯, এবং পরবর্তী সিক্যুয়েলগুলো), দ্য টারমিনেটর (The Terminator) সিরিজ, এলিয়েন্স (Aliens), টারমিনেটর ২: জাজমেন্ট ডে (Terminator 2: Judgment Day)।


