টেকসিঁড়ি রিপোর্টঃ দেশের ই-কমার্স (e-commerce) খাতে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে স্থানীয় উদ্যোক্তারা সরাসরি বিশ্বখ্যাত প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন (Amazon), আলিবাবা (Alibaba), এবং ফ্লিপকার্টের (Flipkart) মতো আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে সোমবার (নভেম্বর ২৪, ২০২৫) এই সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশি পণ্য বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের কাছে সরাসরি পৌঁছানোর পথ সুগম হলো, যা দেশের ই-কমার্স ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক পেমেন্ট, রপ্তানি আয়ের পুনরায় দেশে আনা, এবং বৈধ চ্যানেলে লেনদেন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা সহজ করা হয়েছে। ফলে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, হস্তশিল্প, আইটি পণ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরের উদ্যোক্তারা এখন বৈশ্বিক বাজারে সমানভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারবেন।
ই-কমার্স বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, “এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। এতে আমাদের ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বিশ্ববাজারে সরাসরি প্রবেশের সুযোগ পাবেন, যা রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।” বাংলাদেশের ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহসান বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছিলাম। স্থানীয় উদ্যোক্তারা এখন বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।”
এই নতুন নীতির আওতায় উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য বিক্রয়লব্ধ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনতে পারবেন, যা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এই সিদ্ধান্ত ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


