টেকসিঁড়ি রিপোর্টঃ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে নতুনভাবে বহরে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রিয়ায় নির্মিত অত্যাধুনিক Schiebel Camcopter S-100 ড্রোন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-নির্ভর এই মানববিহীন হেলিকপ্টারটি নৌ অপারেশনে নজরদারি, টহল, উদ্ধারকাজসহ বিভিন্ন কৌশলগত মিশনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে জানা গেছে।
নৌবাহিনী সূত্রে জানা যায়, S-100 ড্রোনটি দিন-রাত নির্বিঘ্নে অপারেশন পরিচালনা করতে সক্ষম এবং এতে যুক্ত রয়েছে হাই-রেজোলিউশন ক্যামেরা, সেন্সর ও আধুনিক ন্যাভিগেশন সিস্টেম। এর ফলে সমুদ্রসীমায় নজরদারি আরও শক্তিশালী হবে এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
ড্রোনের বৈশিষ্ট্য ও সক্ষমতা
ভার্টিকাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (VTOL) ক্ষমতাসম্পন্ন এই ড্রোনটি জাহাজ থেকে সরাসরি পরিচালনা করা সম্ভব। এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
উৎপাদনকারী: অস্ট্রিয়ার Schiebel Group।
পাল্লা: এটি প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত কাজ করতে পারে।
ধৈর্য (Endurance): একটানা ৬ ঘণ্টা ধরে নজরদারি চালাতে সক্ষম।
উচ্চতা: প্রায় ১৮,০০০ ফুট (৫৫০০ মিটার) উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারে।
বহ ক্ষমতা:এটি ৫০ কেজি পর্যন্ত পেলোড (Payload) বহন করতে পারে। এর মাধ্যমে এটি একই সাথে ইলেকট্রো-অপটিক্যাল/ইনফ্রারেড (EO/IR) ক্যামেরা, রাডার এবং ইলেকট্রনিক সিগনেচার মনিটরিং (ESM) সিস্টেম বহন করতে পারে।
সামরিক ক্ষমতা: কিছু সূত্র অনুযায়ী, এটি নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য মার্টলেট ক্ষেপণাস্ত্র (Martlet missiles) বহন করতে সক্ষম।
সমুদ্রসীমা নজরদারি ও নিরাপত্তা
এই অত্যাধুনিক ড্রোনটি মূলত সমুদ্রসীমা নজরদারি (Maritime Surveillance) এবং পুনঃখনন (Reconnaissance) মিশনের জন্য ব্যবহার করা হবে। নৌবাহিনীর ফ্রিগেটগুলি থেকে এই ড্রোন পরিচালনা করা সম্ভব হওয়ায়, এটি গভীর সমুদ্রে টহল এবং অবৈধ কার্যকলাপ, যেমন চোরাচালান ও জলদস্যুতা দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি বাংলাদেশের বিস্তৃত জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনীকে প্রযুক্তিগতভাবে আরও শক্তিশালী করবে।
Bangladesh Navy Showcases Camcopter S-100 UAV Operations
এই ভিডিওতে Schiebel Camcopter S-100 ড্রোনের সক্ষমতা দেখানো হয়েছে, যা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সামরিক শক্তি বৃদ্ধি সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।


