টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং ভিজ্যুয়ালি ইমপেয়ার্ড পিপল’স সোসাইটি (ভিপস) যৌথভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে জাতীয় পর্যায়ের স্টেকহোল্ডার কর্মশালার আয়োজন করে।
মঙ্গলবার , ৯ ডিসেম্বর বেসিস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সিবিএম গ্লোবালের সহায়তায় সারাদেশ থেকে আগত প্রায় ২০০ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ও বেসিস প্রশাসক আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ্ খান বক্তব্যের প্রথমে তাদেরকে সম্মান করে বলেন, “আপনাদের প্রতি আমার স্যালুট।”
তিনি বলেন, “এই বাংলাদেশ সবার এবং এই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্বও সবার। এখন পিছিয়ে পড়ার সুযোগ নেই। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যার যে যোগ্যতা আছে, বেসিস সেই সক্ষমতা আরও বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখানে উপস্থিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যে অসাধারণ আইটি দক্ষতা, জ্ঞান ও অদম্য আগ্রহ ধারণ করেন, তা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমি বিশ্বাস করি, সব চ্যালেঞ্জই আপনাদের সক্ষমতা দিয়ে অতিক্রম করা সম্ভব এবং আপনারা প্রযুক্তিখাতে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে সক্ষম।”
দেশগঠনে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের লক্ষ্য শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, বরং এসডিজি লক্ষ্য ৮ ‘শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’ এবং ১০ ‘বৈষম্য হ্রাসকরণ’ —অর্জনের দিকেও আমাদের বড় পদক্ষেপ।”
অনুষ্ঠানে ভিপস-এর সাবেক সভাপতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত ও বার্ডো নির্বাহী পরিচালক মো. সাইদুল হক বলেন, “অ্যাক্সেসিবল ডিজিটাল পরিবেশ বিনির্মাণ আজ সময়ের দাবি। প্রযুক্তি ব্যবহারে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের সম্ভাবনা অসীম; সঠিক দিকনির্দেশনা ও সুযোগ পেলে তারা দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখতে পারে।”
ভিপস সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোশাররফ হোসেন মজুমদার বলেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল প্রবেশাধিকার শুধু সামাজিক দায়িত্ব নয়, এটি জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি। বেসিস যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে বড় ভূমিকা রাখবে।”
এছাড়াও, অনুষ্ঠানে বেসিস সহায়ক কমিটি্র সদস্যদের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন রওশন কামাল জেমস, ফেরদৌস আলম এবং ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জুয়েল। বেসিস সহায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ তাঁদের সম্মিলিত মন্তব্যে বলেন, “দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তরুণ-তরুণীরা যেভাবে আইটি দক্ষতা অর্জন করছেন, তা দেশের প্রযুক্তিখাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে। বেসিস তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”
বক্তারা আরও জানান, ডিজিটাল অ্যাক্সেসিবিলিটিকে নীতি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশ তৈরি করা এখন জাতীয় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।


