টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : দেশে এই প্রথম চালু হলো কাগজবিহীন ই-পারিবারিক আদালত। এতে ভোগান্তি, দুর্নীতি এবং খরচ কমবে আর বাঁচবে সময়। ফলে সহজেই নির্যাতিত নারী ও শিশুরা ঘরে বসে সেবা পাবেন বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া ডাক্তার, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ঝামেলা ছাড়া সাক্ষ্য দিতে পারবেন।
সোমবার , ২৪ নভেম্বর, ঢাকা মহানগর আদালতে ই-পারিবারিক আদালত কার্যক্রম উদ্বোধন হয়।
বাংলাদেশের পারিবারিক আদালতগুলোতে প্রায় ৭৪,২৫৯টি মামলা বিচারাধীন আছে, যার মধ্যে প্রায় ৫,০৩৪টি মামলা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে অমীমাংসিত রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ সেবার মাধ্যমে মামলার দীর্ঘসূত্রতা, অতিরিক্ত খরচ, দূরত্বজনিত সমস্যা, কাগজের নথি ব্যবস্থাপনা, সময়ক্ষেপণ এবং ভিড় ও অপেক্ষার মতো আগের সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। এছাড়া দ্রুত অনলাইন প্রক্রিয়া, ন্যূনতম খরচ, ঘরে বসে সেবা গ্রহণ, ডিজিটাল নথি, সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা রেজিস্ট্রেশন এবং অনলাইন শিডিউলিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিনামূল্যে ই-পারিবারিক আদালতের মামলা করতে পারবেন ভুক্তভোগীরা। এতে, মানুষের ভোগান্তি যেমন কমবে, তেমনি অব্যবস্থাপনাও সংকুচিত হবে, বন্ধ হবে দুর্নীতি।
’সাক্ষীর অভাবে দিনের পর দিন বহু মামলা ঝুলে আছে উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এই সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকার, ভার্চুয়ালি সাক্ষী দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ফলে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমে আসবে।’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘এই ডিজিটাল কার্যক্রম আইন পেশাজীবীদের আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা দিতে সহায়তা করবে।’
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘নতুন এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পেপারলেস সিস্টেম আরও এগিয়ে যাবে। এটি আনন্দের বিষয়।’


