টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : যে কোনো নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য / উপাত্ত তার সম্পদ এবং রাষ্ট্র এর সুরক্ষা দিতে দায়বদ্ধ। বর্তমান সময়ে সকল ব্যক্তিগত তথ্যই বিশ্বব্যপী বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের এবং নাগরিকদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে আনার ক্ষেত্রে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
নাগরিকদের তথ্যের গোপনীয়তা, সুরক্ষা এবং তা আইনানুগ পদ্ধতিতে সংগ্রহ, সংরক্ষণ, ব্যবহার দেশে কিংবা দেশের বাইরে উপাত্তধারীর সম্মতি সাপেক্ষে হওয়া উচিত। বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই ব্যক্তি তথ্যের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হলেও তার গোপনীয়তা, সুরক্ষা ও আইনানুগ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কোনো আইন প্রণীত হয়নি এবং সে কারণেই জনসাধারণের তথ্য সরকারি, বেসরকারি বা অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও স্থানান্তর করে আসছে। ফলশ্রুতিতে অপ্রয়োজনীয় এবং অপরিকল্পিতভাবে তথ্য সংগ্রহ ও আদান প্রদানের ক্ষেত্রে দেশের জনসাধারণ তাদের তথ্যের আইনী অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
ব্যক্তি তথ্যের সুরক্ষা বিষয়ক সমস্যা সমাধানে প্রতিবেশী দেশসমূহ সহ অন্যান্য দেশের এ সংক্রান্ত আইন বা আইনের সমকক্ষ ডকুমেন্ট বিবেচনায় এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে সমাদৃত হয় এরকম একটি আইনের রূপকল্প নিয়ে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়ছে।
বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের সময়কালে খসড়ায় এ সংক্রান্ত উত্তম চর্চার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি ব্যবসাবান্ধব আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়িক সংগঠন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তথ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহারকারী সংগঠনসমূহ, মিডিয়া এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুবিবেচিত মতামত গ্রহণের জন্য অধ্যাদেশের খসড়া কপি একাধিকবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে।
একইভাবে স্টেকহোল্ডারদের উপস্থিতিতে একাধিক সভা আয়োজন করে মতামত নেয়া হয়েছে। প্রাপ্ত মতামত যাচাই-বাছাই করে খসড়াটি সংযোজন বিয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।