টেক সিঁড়ি রিপোর্ট : শিশু-কিশোরদের রোবোটিক্স ও ষ্টীম শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করতে স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রোবটিক্স প্রতিযোগিতা “ক্রিয়েটিভ জুনিয়র্স প্রেজেন্টস রোবো কিকার্স – ন্যাশনাল সকার বট চ্যাম্পিয়নশিপ ফর কিডস”।
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত এই গ্র্যান্ড ফিনালেতে সারাদিনব্যাপী জমজমাট প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় দেশের ৩০ টিরও বেশি স্কুল থেকে অংশগ্রহনকারীরা অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৬–১০ বছর এবং ১১–১৩ বছর ক্যাটাগরিতে প্রায় ৫০ এর অধিক টীম নক-আউট ফরম্যাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, প্রতিটি অংশগ্রহণকারী নিজেদের সকার বট মেন্টরদের সহযোগিতায় বানিয়েছে এবং খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রোবোটিক্সের প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান অর্জন করেছে।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, ক্যাটেগরি ৬ -১০ বছর, আগা খান একাডেমি থেকে ২য় রানার্স আপ, রানার্স আপ এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যথাক্রমে টীম স্ট্রলার স্ট্রাইকার, টীম মেম্বার আহমেদ আইদান আবদুল্লাহ এবং আহমেদ আলি আব্দুল্লাহ, টীম স্পিডি সার্কি্ টীম মেম্বার আফরাজ রাহগির এবং টীম টেক টাইটান, টীম মেম্বার ইরউইন তানিম।
ক্যাটেগরি ১০-১২ বছর ২য় রানার্স আপ হয়েছেন নেভি এ্যাংকরেজ স্কুল এন্ড কলেজ ঢাকা থেকে টীম রোবট রানার্, টীম মেম্বার জারিফ মাহমুদ, রানার্স আপ হয়েছেন সাউথ ব্রিজ স্কুল থেকে টীম রোবো কিউব, টীম মেম্বার মিনাল মাহিত চৌধুরী এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন টীম নিউরাল নেটওয়ার্ক, টীম মেম্বার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে আরশান আরুশ এবং অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে রিশান আহমেদ।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “রোবো কিকার্স শিশু-কিশোরদের জন্য একটি যুগান্তকারী ও অনন্য উদ্যোগ। এখানে শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বরং হাতে-কলমে শেখার মাধ্যমে তারা প্রযুক্তি, সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা ও দলগত কাজের মূল্যবোধ শিখছে। এ ধরনের কার্যক্রম তাদের আগামী দিনের বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে
স্পেশাল গেস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রিয়েটিভ বিজনেস গ্রুপের চেয়ারম্যান মনির হোসেন। তিনি বলেন, “আজকের এই আয়োজন আমাদের প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের শিশু-কিশোররা সুযোগ পেলে আন্তর্জাতিক মানের উদ্ভাবক হয়ে উঠতে পারে। আমরা সবসময় এ ধরণের শিক্ষা-উদ্যোগের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের শিশু-কিশোরদের মেধা বিকাশে সহায়তা করে।”
স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান অপু বলেন, “রোবো কিকার্স শুধুই একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি শিশুদের জন্য এক নতুন দিগন্ত। এখানে তারা খেলতে খেলতে প্রযুক্তি শিখছে, সৃজনশীলতা আবিষ্কার করছে এবং দলবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে শিখছে। আমাদের লক্ষ্য হলো আগামী প্রজন্মকে উদ্ভাবনী চিন্তায় অনুপ্রাণিত করা। এজন্য আমরা দেশের প্রতিটি প্রান্তে শিশুদের কাছে পৌঁছে তাদের স্বপ্ন দেখাতে এবং সেই স্বপ্ন পূরণের শক্তি জোগাতে কাজ করছি ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ ও দ্বিতীয় রানার্সআপ ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। একইসাথে প্রতিটি অংশগ্রহণকারীকে সনদপত্র ও মেডেল প্রদান করা হয়।
আয়োজনটিতে সহযোগী পার্টনার হিসেবে ছিলো ব্র্যাক কুমন লিমিটেড, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি রোবোটিক্স ক্লাব, সাইন্টিফ্লাই, এক্সন হোস্ট, লিডসউইন, রোবোডেমি, এবং স্টোরি টেলিং পার্টনার হিসেবে ছিলো এনিগমা টিভি।