টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ৪ সেপ্টেম্বর , বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে টেলিকমিউনিকেশন্স নেটওয়ার্ক এবং লাইসেন্সিং পলিসি ২০২৫ অনুমোদন দেয়া হয়েছে ।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুমোদিত নীতিমালার বিস্তারিত তুলে ধরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সরকারি ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
ইতিপূর্বের লাইসেন্স রেজিমে ২৬ ধরনের মোট ৩,২৯৯টি লাইসেন্স থাকার কারণে টেলিকম সেবার মানোন্নয়ন ও গুণগত মান অনুযায়ী দামের সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন নীতিমালায় লাইসেন্স কাঠামোকে মাত্র ৩ প্রকারে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
এর ফলে নাগরিকের চাহিদা অনুযায়ী উন্নত Quality of Service (QoS) নিশ্চিত করতে অধিকতর ফোকাস প্রদান করা সম্ভব হবে। আগের বহুমাত্রিক লাইসেন্স পদ্ধতির কারণে টেলিকম মার্কেট থেকে মধ্যস্বত্বভোগীরা উল্লেখযোগ্য ভ্যালু এড না করেই রাজস্বের অংশে ভাগ বসাত, যা এই পলিসি দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছে।
এর ফলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং তা জলবায়ু অভিঘাতপ্রবণ এলাকায় কাভারেজ সম্প্রসারণ, সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা প্রদানসহ নাগরিকবান্ধব কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা যাবে।
প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক গঠিত কমিটি যার চেয়ারম্যান ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা সেই কমিটির সুপারিশে কেবিনেট ডিভিশনে এই নীতিমালার সংশোধিত প্রস্তাব উপস্থাপনের পূর্বে প্রায় ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন নীতিমালায় অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ শেয়ারিং এর মাধ্যমে টেলিকম কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতামূলকভাবে উন্নততর সেবা প্রদান করতে পারবে। এর ফলে টেলিকম সেবার গুণগত মানোন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে।
নতুন নীতিমালায় MVNO, VoWiFi, WiFi-6, WiFi-7, IoT, AI ইত্যাদি আধুনিকতম প্রযুক্তিগত সেবার সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। একই সাথে নিত্যনতুন ডিজিটাল সার্ভিস প্রদানের প্রতিবন্ধকতা দূর করে নতুনদের বিশেষত SME দের জন্য উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীও কানেক্টিভিটির আওতায় আসবে এবং কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতে টেলিকম সেবা কার্যকর অবদান রাখতে সক্ষম হবে।