টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ‘আমার লেবু গাছে প্রচুর পিপীলিকার আনাগোনা, কী করব বুঝতে পারছি না ‘ ‘গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে ‘ ‘ গাছ বড়ো হচ্ছে না ‘ ‘ফুল হচ্ছে না’ ‘ফুল ঝরে যাচ্ছে ‘ , কি সার দিব ইত্যাদি নানা রকম প্রশ্ন ফেইসবুকের পাতায় পাতায়।
ছাদ বাগান , বারান্দা বাগানের বদৌলতে এখন দেশের ঘরে ঘরে কিষাণ, কিষাণি। শখের বশে বা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের উৎসাহে কিংবা ভালোবেসেই অফিস ও ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করতে ইন্ডোর প্ল্যান্ট , সেমি ইন্ডোর প্ল্যান্টের জুড়ি নাই। শুধু তাই নয় নিজে ও নিজের প্রজন্মকে কেমিক্যাল মুক্ত সবজি ও ফল খাওয়ানোর জন্য শহরের অধিবাসীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এখন কৃষি কাজ।
অবশ্য ভার্চুয়াল কনটেন্ট হিসাবেও গাছ ফুল ফলের কদর বেশ। তাই চাষীদের এর যত্নেও হতে হচ্ছে সাবধান। তবে কৃষি অ্যাপের চেয়ে গুগল, ইউটিউব এবং বাগানি বন্ধুরা অনেক সহজে একে অপরের আস্থা অর্জন করেছে।
আসুন জেনে নিই এই বিষয়ে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে। এই অ্যাপগুলো কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করে, যেমন- ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, সার ও কীটনাশক ব্যবহারের সঠিক পরামর্শ প্রদান, আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানানো, এবং ফসলের বাজার দর সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা।
দেশের কিছু উল্লেখযোগ্য কৃষি বিষয়ক অ্যাপ হলো:
খামারি: এটি একটি জনপ্রিয় অ্যাপ, যা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (BARC) কর্তৃক তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপে ফসলের উৎপাদন, সার ব্যবস্থাপনা, এবং মাটির গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও উপজেলা ভিত্তিক উপযোগি ফসল এলাকা, ফসল বিন্যাস, ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি ইত্যাদি তথ্য সম্পর্কে জানা যাবে।
আমাদের কৃষি – বাংলাদেশ : এই অ্যাপটি কৃষকদের জন্য একটি সম্পূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে চাষাবাদ, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, এবং পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের মতো বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য এবং উন্নত কৃষি পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত পাওয়া যাবে ।
কৃষকের অ্যাপ: এটি খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক তৈরি করা হয়েছে এবং এটি কৃষকদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে শস্য সংগ্রহে সহায়তা করে। প্রযুক্তির কল্যাণ এখন কৃষকের কল্যাণে যুক্ত হয়ে কৃষিজীবী মানুষের জীবনে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটাতে যাচ্ছে।
এই অ্যাপগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষক এবং বাগানীরা তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং আধুনিক কৃষি পদ্ধতির সাথে পরিচিত হতে পারে।