এসএমটিপি (SMTP) বা সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রটোকল হল একটি ইন্টারনেট প্রোটোকল যা ই-মেইল পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত ইমেইল সার্ভারগুলির মধ্যে মেসেজ আদান-প্রদানের জন্য স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে কাজ করে। যখন আপনি একটি ইমেইল পাঠান, এসএমপিটি প্রোটোকল সেই ইমেইলটি প্রাপকের মেইল সার্ভারে পাঠাতে সাহায্য করে।
এসএমটিপি-এর কার্যপ্রণালী
এসএমটিপি একটি ক্লায়েন্ট-সার্ভার মডেল ব্যবহার করে কাজ করে। এর প্রধান ধাপগুলো হলো:
মেইল প্রস্তুত করা: ব্যবহারকারী ইমেইল ক্লায়েন্ট (যেমন Gmail, Outlook) ব্যবহার করে একটি ইমেইল তৈরি করে।
ইমেইল পাঠানো: ইমেইল পাঠানোর সময় ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার এসএমপিটি সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
ডোমেইন চেক করা: এসএমপিটি সার্ভার প্রাপকের ইমেইল ঠিকানার ডোমেইন চেক করে এবং সেই ডোমেইনের মেইল সার্ভারের (MX সার্ভার) সাথে যোগাযোগ করে।
মেসেজ স্থানান্তর: এসএমপিটি প্রোটোকল ব্যবহার করে বার্তাটি প্রাপকের মেইল সার্ভারে পাঠানো হয়।
প্রাপকের কাছে মেসেজ পৌঁছানো: প্রাপকের মেইল সার্ভার বার্তাটি সংরক্ষণ করে এবং POP3 বা IMAP প্রোটোকলের মাধ্যমে এটি প্রাপক পড়তে পারেন।
এসএমটিপি প্রোটোকলের সুবিধা
স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকল: এটি একটি নির্ভরযোগ্য এবং স্বীকৃত পদ্ধতি যা বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়।
বহুমুখিতা:এসএমপিটি বিভিন্ন ইমেইল ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের সাথে কাজ করে।
ত্রুটি সনাক্তকরণ: যদি কোনো ইমেইল পাঠাতে সমস্যা হয় তাহলে এসএমপিটি error message তৈরি করে।
এসএমটিপি পোর্ট
এসএমপিটি কাজ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পোর্ট ব্যবহার করে। সাধারণত ব্যবহৃত পোর্টগুলো হলো:
পোর্ট ২৫: ইমেইল রিলেতে ব্যবহৃত হয়, তবে বর্তমানে এটি কিছুটা সীমিত।
পোর্ট ৫৮৭: আধুনিক এসএমপিটি ট্রাফিকের জন্য ব্যবহৃত হয়।
পোর্ট ৪৬৫: নিরাপদ এসএমপিটি (SSL/TLS) সংযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।
শেষ কথা
এসএমটিপি প্রোটোকল ইমেইল যোগাযোগের জন্য একটি গুরুত্বপুর্ণ টুল। এর মাধ্যমে দ্রুত এবং নিরাপদে বার্তা প্রেরণ করা সম্ভব। বর্তমান ডিজিটাল যুগে এসএমপিটি প্রোটোকলের গুরুত্ব অপরিসীম। ইমেইল যোগাযোগের জগতে এটি একটি অপরিহার্য প্রযুক্তি।
লেখকঃ সামিউল হক সুমন, নেটওয়ার্ক প্রকৌশলী, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি – বাংলাদেশ