24 C
Dhaka
১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
টেকসিঁড়ি

বাংলাদেশ এবং রুয়ান্ডার মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের সূচনা হলো

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : একাধিক ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং রুয়ান্ডা প্রজাতন্ত্রের তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন মন্ত্রী মিসেস পলা ইঙ্গাবির এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার দায়িত্বে থাকা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অব.) কাবারেবে জেমস এর সাথে।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং সহযোগিতার জন্য নতুন উপায় অন্বেষণের বিষয়ে আলোচনা হয় । প্রতিমন্ত্রী শনিবার রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালি-তে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, বাণিজ্য সহ বিভিন্ন ইস্যুতে এই বৈঠক করেন।

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন মন্ত্রী মিসেস পলা ইঙ্গাবিরের সাথে বৈঠকে ডিজিটাল অর্থনীতি, আইসিটি এবং টেলিযোগাযোগ খাতে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং উভয় পক্ষই কৌশলগত সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবন এবং অগ্রগতি চালনা করার জন্য এই অঙ্গীকার প্রকাশ করেন।

প্রতিমন্ত্রী পলক সহযোগিতার সম্ভাব্য সুবিধার উপর জোর দিয়ে বলেছেন, “আজকে আমাদের মিসেস পাওলা ইঙ্গাবায়ের এবং তার দলের সাথে আলোচনা ডিজিটাল অর্থনীতিতে পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য অনেক সুযোগ উন্মুক্ত করেছে। আমাদের উভয় দেশ উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য আইসিটি এবং টেলিযোগাযোগের শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য একসাথে কাজ করতে আগ্রহী।”

ডিজিটাল রূপান্তর এবং উদ্ভাবন প্রচারের জন্য যৌথ উদ্যোগের বিকাশ, আইসিটিতে প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির সুবিধা, টেলিকমিউনিকেশনে B2B এবং G2B সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণ করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নকে সমর্থন করার জন্য ডিজিটাল অবকাঠামো এবং পরিষেবাগুলি উন্নত করার বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পায়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অব.) কাবারেবে জেমসের সাথে সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী পলক বাংলাদেশে একটি রুয়ান্ডা মিশন খোলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন, যা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

উভয় পক্ষই নলেজ পার্টনারশিপ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করার জন্য গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে, যা দক্ষতা ও উদ্ভাবনের আদান-প্রদান সহজতর করে।

এছাড়া উভয় দেশের কারিগরি শিল্পে সহযোগিতা এবং প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রযুক্তি স্থানান্তরের (G2G, G2B, B2B, B2C) বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশের নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির জন্য ইলেকট্রনিক্স এবং টেক্সটাইল সেক্টরে বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করা হয়।

উভয় বৈঠকই বাংলাদেশ ও রুয়ান্ডার জন্য একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করে, ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য অর্জনের প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে।

প্রতিমন্ত্রী পলক বাংলাদেশের ভবিষ্যত সহযোগিতার বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “এই বৈঠকটি বাংলাদেশ এবং রুয়ান্ডার মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্বের সূচনা করে। আমরা প্রযুক্তি, বাণিজ্যে আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে রুয়ান্ডার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত।

Related posts

দেশে প্রথম ফাইবারগ্লাস টাওয়ার স্থাপন করবে ইডটকো ও হুয়াওয়ে

Tahmina

মেটাকে ৯১ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা!

Tahmina

আইডব্লিউএস অনলাইন স্কুল এখন বাংলাদেশে

Tahmina

Leave a Comment